নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৩৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৫৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪০৯টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৮ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজ–ড়ে ৬৭ হাজার ৭০০টি শেয়ার মোট ১৩৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ার ২৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়।
তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। জানা গেছে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩৭ পয়সা। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা (ঘাটতি)।
আইডিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যার ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ৫ শতাংশ স্টক (বোনাস) লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ২৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৪২ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭১ পয়সা। এ ছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৩৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা দুই পয়সা।