নাপা সেবনে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

আইন অনুযায়ী ব্যবস্থার কথা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্যারাসিটামল সিরাপ নাপা সেবনে দুই শিশুর মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল রাজধানীতে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ বিষয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে; যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নেয়া হয়েছিল, সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সিরাপগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। অপেক্ষা করছি রিপোর্ট কী আসে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাপার ওই ব্যাচের ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হবে কি নাÑএমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যা যা করা প্রয়োজন, তা করছে। আমাদের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগও বিষয়টির ওপর কাজ করছে। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেটা আপনারা দেখতেই পারবেন।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের দুর্গাপুর গ্রামের এক পরিবারে ৭ ও ৫ বছর বয়সী দুই ছেলের জ্বর হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় দোকান থেকে নাপা সিরাপ কিনে তাদের খাওয়ায় পরিবার। এরপর তাদের বমি শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পর পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ি ফিরিয়ে আনার পথে দুজনই মারা যায়।

এই প্রেক্ষাপটে নাপা সিরাপের একটি ব্যাচের ওষুধ পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। শনিবার অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়, সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা ফার্মেসি পরিদর্শন করে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্যারাসিটামল ১২০ মিলি গ্রাম ও ৫ মিলি গ্রাম সিরাপ (ব্যাচ নং ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ১১/২০২৩) পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

প্যারাসিটামল বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ওষুধগুলোর একটি। আর প্যারাসিটামল জেনেরিকের ওষুধগুলোর মধ্যে নাপা সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

এ বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটক্যালসের বক্তব্য জানতে কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠালেও সাড়া দেননি।