নিজস্ব প্রতিবেদক:আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ১’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২২ সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে ব্যাংক ঋণের অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
এদিকে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছে ৫৬ পয়সা। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৭ টাকা ৫১ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১৩ টাকা ২৮ পয়সা (ঘাটতি) ছিল।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ২৬ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা (ঘাটতি)।
কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সরকারি ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ শেয়ার।
