নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফারেটিং।
এদিক মূলধনি মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুদের ব্যয় কমায় চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) আইসিবির ইপিএস হয়েছে ৭০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৩২ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা ৭৩ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে আট টাকা ৮৭ পয়সা (লোকসান)। কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির মূলধনি মুনাফা বেড়েছে একইসঙ্গে সুদের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে তাই এ প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে। অন্যদিকে টার্ম ডিপোজিট রিসিপ্ট (টিডিআর) পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে তাই এ প্রান্তিকে এনওসিএফপিএস কমেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ৯৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮০৫ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৫২৭ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৭, সরকারি ২৭ শতাংশ, এবং এক দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
