Print Date & Time : 18 July 2025 Friday 6:24 pm

আইসিসিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা হয়েছে। এ মামলার আবেদন করেছে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল। তারা সবাই আইসিসিতে কর্মরত। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতিনিধিদলের পক্ষে আইসিসিতে আবেদন জমা দিয়েছেন আইনজীবী গিলেস দেভার্স। দলের চারজন সদস্য এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে দেভার্স বলেন, আইসিসি বর্তমানে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে। আমরা মনে করি, এই তদন্তের সঙ্গে উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী পরিচালিত গণহত্যারও তদন্ত করা যেতে পারে। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী কেবল নির্বিচারে বোমাবর্ষণেই থেমে নেই, বরং যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই তারা গাজায় বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, লোকজনকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করছে এবং ত্রাণ ও জ্বালানি প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে ইসরায়েল আসলে গাজার আদি বাসিন্দাদের নির্মূল করতে চাইছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম সদস্য এবং বেলজিয়ামের সাবেক সিনেটর পিয়েরে গালান্ড। বর্তমানে আইসিসির আইনজীবী গালান্ড বলেন, আমরা এখানে মানবাধিকার রক্ষা ও ন্যায়বিচারের জন্য এসেছি।

প্রতিনিধিদলের অপর সদস্য ও ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা অ্যালায়েন্স ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডিগনিটির প্রধান আবদেলমাজিদ মারারি বলেন, ইসরায়েল আসলে হামাস দমনের নামে ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নির্মূলের প্রকল্প নিয়েছে। গাজায় যেসব অপরাধ চলছে, সেসব তদন্ত করার পূর্ণাঙ্গ এখতিয়ার আইসিসির রয়েছে।

গাজায় গত এক মাসের বেশি সময় ধরে যে যুদ্ধ চলছে, তাকে ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ওই অঞ্চলের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ বলে বিবেচনা করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ওই দিন ভোরে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত এলাকার বেড়া ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত হামাস যোদ্ধা। তারপর সেখানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা। জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। তার সাত দিন পর ১৪ অক্টোবর থেকে অভিযানে নামে স্থলবাহিনীও। গত ৩৮ দিনের বিরতিহীন অভিযানে নিহত হয়েছেন মোট ১১ হাজার ১৮০ ফিলিস্তিনি এবং এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা সাত হাজার সাতশ’র বেশি।