নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতিদ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গতকাল শুক্রবার নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে নাÑ উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি রায় দিয়েছে, তারা এ দেশে আর কখনও রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা যখন বলি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে তখন উপায় হচ্ছে- একটি ভোটের মাধ্যমে, অন্যটি রাজপথে তাদের অবস্থান জানান দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, যা ৫ আগস্টে হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, দেশে একটি গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। সেখানে এ দেশের জনগণ মুজিববাদ ও আওয়ামী লীগকে অস্বীকার করেছে। জনরোষে পড়ে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এরপরে আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না- এ আলোচনা আসতে পারে না। তারা রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি হারিয়েছে। এখন তার আইনি বন্দোবস্ত কি হবে, সেটাই বিষয়।
এ বিষয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে পারি সে পথ আমাদের বের করতে হবে- উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে অতি দ্রুত তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বিচারের মাধ্যমে আমরা তাদের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা পাব।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক আরও বলেন, যদি এ সরকার বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় তবে আমরা বসে থাকব না, জনতার আদালতে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিজমের বিচার নিশ্চিত করা হবে। বন্ধুরা যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু এবং প্রযুক্তির জন্য আমরা একটি নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করব এবং একটি মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। প্রিয় বন্ধুরা, আমরা বলতে চাই, এ ঢাকা বা বাংলাদেশ ছিল এই বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের মিলনকেন্দ্র, বহু সংস্কৃতি, বহু সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বহু সংস্কৃতির ভিত্তিতে আমাদের নতুন সমাজ গঠন করব এবং ইনশাআল্লাহ ঢাকায় আগামীদিনে এই বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ এশিয়ার কান্ডারি হবে দক্ষিণ এশিয়াকে নেতৃত্ব দেবে।
এর আগে সমাবেশ এনসিপির নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টালবাহানা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে, এই সিদ্ধান্ত জনগণ গত বছরের ৫ আগস্টই দিয়েছে। এরপরও কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে জুলাই যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করবে।