আগামী ছয় মাস টিকা আসতে থাকবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণটিকা কার্যক্রম নিয়ে যেসব কথা উঠছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বিভিন্ন দেশ ও উৎস থেকে যে টিকা আসছে আগামী ছয় মাস তা আসা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

গতকাল শনিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, গণটিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সরবরাহ নিয়ে যেসব কথা উঠছে তা বাস্তবে গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ ও উৎস থেকে টিকা আসছে, আগামী ছয় মাস তা আসা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কভিড সংকটের শুরু থেকে নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে সংকট মোকাবিলা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেন। দ্বিতীয় ঢেউ জীবন-জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে তিনি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন।

গণটিকা কার্যক্রমে জনমানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক, কিন্তু কেউ কেউ গণটিকা গ্রহণে জনগণের এ আগ্রহ ভালো চোখে দেখছে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা এ নিয়ে সত্য-মিথ্যার বেসাতি করে ইস্যু খোঁজার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। একদিকে টিকা আসতে থাকবে অপরদিকে টিকা দেয়া অব্যাহত থাকবে। টিকা নিয়ে কোনো সংকট নেই, ভবিষ্যতেও হবে না। এ নিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অপপ্রচারকারীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

এছাড়া বক্তব্য দেন- স্বাচিপের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সেনাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।

জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি এবারও খালেদা জিয়ার ‘ভুয়া জš§দিন’ পালন করবে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জš§দিন পালন করে বিএনপি জাতির সঙ্গে ‘তামাশা’ করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্যের শুরুতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এত মর্মান্তিক, এত নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড আর একটিও সংগঠিত হয়নি। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে।’

এদেশে ‘হত্যা রাজনীতির কুশীলব’রা এখনও সক্রিয় জানিয়ে বলে সবাইকে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কারণেই তারা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচার করছে।

মিথ্যা রটনাকারীদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেই এত রক্তপাতের পরও আপনারা এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন। বড় বড় কথা বলার সাহস পাচ্ছেন। অশ্রাব্য ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেও আপনারা রেহাই পাচ্ছেন। তারপরও বলেন দেশে গণতন্ত্র নেই!’

মহামারিতে সামনের সারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মানবসেবাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করার এই জাতীয় বীরদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। জাতি চিরদিন আপনাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।’