Print Date & Time : 8 September 2025 Monday 8:08 pm

আগামী বছরই উৎপাদনে যাচ্ছে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য অবস্থিত বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী বছরই উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জানান, ভবিষ্যতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আড়াইহাজারে স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। এ আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে। তবে এজন্য বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও সহজ করার জন্য আহ্বান জানান ইতো নাওকি।

বিশেষ করে পরিচালন মূলধনের জন্য ঋণের জোগান, ঋণপত্র খুলতে বিলম্ব, আয়কর ও ভ্যাটের উচ্চহার, বন্ড লাইসেন্সের নবায়ন জটিলতা এবং ইপিজেডের কারখানাগুলোর সঙ্গে বাইরের শিল্পের মজুরি পার্থক্যকে জাপানি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এসব সমস্যার সমাধান হলে এদেশে জাপানি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ইতো নাওকি।

এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শতাধিক জাপানি কোম্পানি বহু বছর ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে। পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পেও বাংলাদেশের অন্যতম বড় অংশীদার জাপান। তাছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রাতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের আকারও বেড়েছে। এদেশে জাপানি পণ্যের জনপ্রিয়তাও তূলনামূলকভাবে বেশি। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে যেকোনো জাপানি কোম্পানির লাভজনক হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নেয়া অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ

বিভিন্ন নীতি সহায়তার কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি আমিন হেলালী ও মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক মো. নাসের, প্রীতি চক্রবর্তী ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।