শেয়ার বিজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে বন্দুক হামলার পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণেও কঠোর হওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। খবর: রয়টার্স।
গত সপ্তাহে ডে-কেয়ার সেন্টারে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বন্দুক মালিকানার নিয়ম কঠোর করতে এবং মাদকের ব্যবহার বন্ধ করার আদেশ দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। গত সোমবার এ আদেশ দেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৫০০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বের শহর উথাই সাওয়ানের একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে ছুরি, বন্দুক ও শটগান নিয়ে হামলা চালান মাদকাসক্তির কারণে বরখাস্ত হওয়া এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। তার হামলায় ২৪ শিশুসহ মোট ৩৬ জন নিহত হয়। পরে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো থাইল্যান্ড শোকে স্তব্ধ।
থাই সরকারের মুখপাত্র আনুচা বুরাপাচাইশ্রি এক বিবৃতিতে বলেন, প্রায়ুথ কর্তৃপক্ষগুলোকে সম্প্রদায় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে অবৈধ মাদকের ব্যবহার সক্রিয়ভাবে পরীক্ষা ও তল্লাশি করে দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
লাইন্সেস করা বন্দুকের যেসব মালিক ‘সমাজকে হুমকি’ দেয়ার মতো আচরণ করেন এবং ‘বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা তৈরি করেন’ তাদের অস্ত্র রাখার অনুমতি বাতিল করার জন্য সরকারি রেজিস্ট্রারদের নির্দেশ দিয়েছেন থাই প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র বিক্রি, অস্ত্রের চোরাকারবার ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
যে পদাধিকারীরা ও পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অগ্নেয়াস্ত্রের অপব্যবহার করেছেন, অথবা দায়িত্বপালনকালে আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন, তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে থাই কর্তৃপক্ষ।
দেশটির পুলিশপ্রধান জেনারেল দামরংসাক কিত্তিপ্রপাস বলেছেন, বন্দুকের মালিক ও মালিকানার জন্য লাইসেন্সের আবেদন করা সবার নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও প্রয়োজন হবে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় থাইল্যান্ডে বন্দুকের মালিকের সংখ্যা বেশি। দেশটিতে অবৈধ অস্ত্রও সহজলভ্য।