আজকের দিনে

 

নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ ৭৭ বছরে পা রাখলেও আজ তার ১৯তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২৯ ফেব্রুয়ারি জš§গ্রহণ করায় প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর আসে তার জš§দিন। সে হিসাবে এবার তার ১৯তম জš§দিবস। মামুনুর রশীদ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া গ্রামে মাতুলালয়ে জš§গ্রহণ করেন। বাবা হারুনুর রশীদ ডাক বিভাগে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেছেন। ঢাকা পলিটেকনিক থেকে পুরকৌশল বিভাগে ডিপ্লোমা করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন যার বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। নাট্যশিল্পের প্রতি তার প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাঙ্গাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন; কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায়, নাটকটি আর তখন অভিনীত হয়নি। পরে নাটকটি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে অভিনীত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তার আরেক নাট্যসংগ্রাম ‘মুক্ত নাটক আন্দোলন’। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন আরণ্যক নাট্যদল। তিনি টিভির জন্য অসংখ্য নাটক লিখেছেন এবং অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটক হলো গন্ধর্ব নগরী, ওরা কদম আলী, কহে ফেসবুক, প্রভৃতি। ধারাবাহিক টিভি নাটক সুন্দরী, অলসপুর, টিভি নাটক মুর্দা ফরেশ। নাট্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য মামুনুর রশীদ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। স্বৈরশাসনের প্রতিবাদস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮২) প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একুশে পদক (২০১২), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী সম্মাননা, মওলানা ভাসানী পুরস্কার, অনীক থিয়েটার সম্মাননা প্রভৃতি। [সংগৃহীত]