শেয়ার বিজ ডেস্ক: তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেকের বৈঠক হবে আজ বৃহস্পতিবার। কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠক পিছিয়ে গেলেও আজকের বৈঠকে তেল উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছে ওপেক। খবর: রয়টার্স।
বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক বলেছেন, তেলের দাম বাড়তি রাখতে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন হ্রাসের ধারা অব্যাহত রাখবে বা এমনকি উৎপাদন আরও হ্রাস করতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৯৮ ডলারে উঠলেও পরবর্তী সময়ে দাম কমেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের নিচে নেমে আসে।
আজকের বৈঠকে যৌথভাবে উৎপাদন সম্মিলিতভাবে আরও কমানোর উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো চলতি মাসের শুরুর দিকে বলেছিল, তেলের উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে তারা।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এতে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেলের উৎপাদন নিয়েও আলোচনা করবে। এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২৬ নভেম্বর, কিন্তু কোন দেশ কতটা উৎপাদন কমাবে, তা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে তা পিছিয়ে দেয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে এ নিয়ে মতৈক্য হওয়ায় আজ বৈঠক হবে।
কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ওপেক তেল উৎপাদন ও বাজারের কোটা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, তারা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মনিটরিং কমিটি আলোচনা করবে। এরপর তাদের পূর্ণাঙ্গ সভা হবে।
২০২২ সাল থেকে তেলের দাম বাড়াতে সৌদি আরব, রাশিয়াসহ ওপেকের সদস্য দেশগুলো তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে তারা দৈনিক বৈশ্বিক চাহিদার পাঁচ শতাংশ সমপরিমাণ তেল উৎপাদন হ্রাস করেছে। এর বাইরে সৌদি আরব আরও অতিরিক্ত ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছিল, যা আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে শেষ হওয়ার কথা।
