আজ থেকে বস্তিতে টিকা দেয়া শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস মিলনায়তনে টিকা বহনের জন্য ফ্রিজার ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মহাখালীর কড়াইল বস্তি থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বস্তিতে তা চালু করা হবে। বস্তিবাসী সিনোফার্মের টিকা পাবেন বলেও জানান মন্ত্রী।

সবাইকে টিকার আওতায় আনাই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মহাখালীর সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইল, সেখান থেকেই শুরু হবে। ওখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ বসবাস করেন। তাদের আমরা প্রথমে টিকার আওতায় আনব। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও টিকা কার্যক্রম চালু করা হবে। নিবন্ধনের মাধ্যমেই তাদের টিকা দেয়া হবে। সেখানে স্পট রেজিস্ট্রেশনেরও ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর এবং কভিড ১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ডা. মো. শামসুল হক বলেন, বস্তিবাসীর অনেকে ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। তারপরও এ এলাকার তিন লাখ জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ বাদ আছে। সেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পাওয়া যাবে। আমরা বুথ করতে পারব বেশি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আমাদের এতে সহায়তা করছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, ব্র্যাকও এগিয়ে আসছে।

বস্তিবাসী অনেকের আগেই রেজিস্ট্রেশন করা আছে, আর কিছু মানুষের জন্য ‘অন দ্য স্পট রেজিস্ট্রেশন’-এর ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন সত্ত্বেও যাদের এসএমএস আসেনি তাদের এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করে আমরা টিকা দেব। পর্যায়ক্রমে ঢাকার অন্যান্য বস্তি ও দেশের সব বস্তি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করা হবে। যতদিন না সবাই টিকার আওতায় আসছে, ততদিন বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘গত সাত দিনে কভিডে কম মৃত্যুর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। প্রথম স্থানে আছে চীন, এরপর আছে জাপান।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাত দিন আড়াই হাজার মানুষ ভারতে মারা গেছেন, ভিয়েতনামে ৪৪০ জন এবং থাইল্যান্ডে মারা গেছেন ৪৫৩ জন। সেখানে বাংলাদেশে ২৭ জন মারা গেছেন। আমি এও দেখেছি, জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুর হার কম কোথায় আছে। জাপানে হচ্ছে শূন্য দশমিক এক শতাংশ, এরপরই বাংলাদেশে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। সবার ওপরে আছে চীন, শূন্য শতাংশ। আর বড় জনগোষ্ঠীর বাকি সব দেশে মৃত্যুহার বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কভিডের কারণে পৃথিবীর অর্থনীতি মাইনাসে চলে গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মাইনাস তিন দশমিক পাঁচ, ইউরোপ শুধু ৫-৬ প্লাসে আছে। আমাদের এখানে কভিড নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়েছে।’