আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব আন্দোলন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে গতকাল শনিবার আয়োজিত ‘জাতীয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যমান সংকট ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের নেতারা। সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের সহ-সংগঠক তানজিনা ফেরদৌস কবিতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ফজলুস সাত্তার, সংগঠক শামীম রেজা, ফরিদ আহম্মেদ, ডুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

সার্বভৌমত্ব আন্দোলনের উপদেষ্টা ফজলুস সাত্তার বলেন, প্রতিটি দেশের উন্নয়নের স্তম্ভ হলো জ্বালানি নিরাপত্তা। অর্থাৎ দেশের শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি প্রতিটি খাতই জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। যে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা যত শক্তিশালী, সে দেশের সার্বভৌমত্ব তত অটুট। ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিবর্তে মূলত লুটপাটকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে কুইক রেন্টাল প্লান্টগুলোকে ১ লাখ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আদানি থেকে বাংলাদেশের বাজারদরের ৫ গুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা হয়েছে। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলেও ২৫ বছর ধরে প্রতিবছর ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্যাপাসিটি চার্জ ও মেইনটেন্যান্স বাবদ দিতে হবে। কাজেই দেশের কল্যাণে এমন স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।

অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, বিআরইবি ও পিবিএসের বৈষম্যমূলক সম্পর্ক জনস্বার্থবিরোধী। এতে ১৪ কোটি মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত, কৃষি ও শিল্প বাধাগ্রস্ত এবং ক্ষোভ বাড়ছে। বিআরইবি বিলুপ্ত করে পিবিএসকে মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
ফুয়াদ সাকি বলেন, অস্থায়ী ১৭ হাজার মিটার রিডারকে স্থায়ী করতে হবে। আর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিয়ে সংকট সমাধান করতে হবে। অন্য বক্তারা বলেন, দেশের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাত একটি বড় খাত। কিন্তু বিগত দিনে এই জায়গাটা লুটপাটের জায়গা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান এবং বিদ্যুৎ খাতে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনার প্রস্তাবও জানান বক্তারা।