Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 2:37 pm

আনসার সদস্যদের গুলি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১০

প্রতিনিধি, নরসিংদী: নরসিংদীর বড় বাজারে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে দুটি শটগান ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার ছয় দিনের মধ্যে শটগান ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম এ কথা জানান।

গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর বড় বাজার বণিক সমিতির আনসার ক্যাম্প থেকে প্রতিদিনের মতো ৪ জন আনসার সদস্য তাদের নামে ইস্যুকৃত ৪টি শটগান ও ২০ রাউন্ড গুলি নিয়ে বাজারের নিরাপত্তাকাজে নিয়োজিত ছিল। ডিউটিকালীন রাত অনুমান দেড়টার দিকে পিঁয়াজপট্টির কাছে পৌঁছলে ১৭-১৮ জন দুষ্কৃৃতকারী তাদের বিভিন্ন আগ্নেয়ান্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুইজন আনসার সদস্যদের কাছে থেকে দুটি শটগান ও ১০ রাউন্ড গুলি নিয়ে আনসার সদস্যদের দুই হাত পেছনে বেঁধে রেখে বেড়িবাঁধ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নরসিংদী সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা লুৎফর নাহার লতিফা বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর পরই নরসিংদী পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরী এবং অফিসার ইনচার্জ গোয়েন্দা শাখা মো. আবুল বাশার পিপিএম বার-এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন।

উল্লেখ্য, ডাকাতরা আনসার সদস্যদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি ডাকাত মিজানের মামার বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল। ধৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক লুণ্ঠিত অস্ত্রগুলো ডাকাত মিজানের মামার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ধৃত ডাকাতরা হলো মুন্সীগঞ্জ জেলার মোহাম্মদ দেওয়ানের পুত্র আনোয়ার দেওয়ান, শরীয়তপুর জেলার সিরাজ খলিফার পুত্র মো. দেলোয়ার খলিফা, একই জেলার সিরাজ খলিফার পুত্র মতি খলিফা ও নূরউদ্দিন মোড়লের স্ত্রী মোসা. আলেয়া বেগম, মাদারীপুর জেলার ফজলু হাওলাদারের পুত্র মো. কালু হাওলাদার ও তার ভাই ফরিদ হাওলাদার, একই জেলার আব্দুর রউফ খাঁর পুত্র মো. ফারুক খাঁ, বাগেরহাট জেলার শেখ আব্দুল মালেকের পুত্র শেখ আল মামুন ও শেখ মহিউদ্দিনের পুত্র আনোয়ার হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অহিদ মিয়ার পুত্র মো. শফিকুল ইসলাম।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।