Print Date & Time : 11 August 2025 Monday 10:04 pm

আনোয়ারায় স্কুল ফটকে শিক্ষার্থীদের জটলা

এনামুল হক নাবিদ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): জল্পনা-কল্পনা শেষে দীর্ঘ ১৭ মাস পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টানা বন্ধ থাকার পর আবারও স্কুল আঙিনায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। অনেক দিন পর সহপাঠী ও শিক্ষকদের পেয়ে তারা খুব খুশি। তবে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই স্কুল ফটকে জটলা করছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, সকালে কোচিং করে ক্লাস শুরুর আগে তারা ক্যাম্পাসের সামনে হাজির হচ্ছে। কেউ চলে আসছে আধঘণ্টা আগে। আবার কেউ কেউ ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে স্কুল গেট না খোলায় শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে গেটের বাইরে।

একটু আগেভাগে চলে আসায় ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের জটলা চোখে পড়ার মতো। অনেকেই একসঙ্গে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর গেট খুললে দলাদলি করে ঢুকছে। এতে কভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল।

অন্যদিকে ক্লাস শেষে অনেক শিক্ষার্থীর দলবেঁধে আড্ডা দেয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ার মতো, যা কভিড ঝুঁকির অন্যতম কারণ হতে পারে।

সোমবার ও মঙ্গলবার উপজেলার বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের এমন চিত্র। এদিকে শিক্ষার্থীদের প্রথম দিনের স্কুল সময়টা অনেকটা কেটেছে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে। পাশাপাশি সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে করণীয় বিষয়ে ক্লাসে ক্লাসে কথা বলেছেন শিক্ষকরা।

প্রথম দিন কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে ক্লাস শেষ হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে অনেকটা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস বণ্টন ও শ্রেণিভিত্তিক রুটিন করে পাঠদান কার্যক্রম জোরদার করেছে। এমনটাই জানিয়েছে শ্রেণিভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।

কভিড-১৯ এর ঝুঁকি ও শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বিষয়ে আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে সব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা কোচিং শেষ করে বাড়ি গিয়ে স্কুলে আসা বিষয়টি অনেক কষ্টসাধ্য। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো বিষয়টি আরও গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত বলে মনে করি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, বিষয়টি আসলে উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকদের নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হবে।