আন্তরিকতার সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করছি: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার প্রকৃত অপরাধীরা এখনো শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা অনেক আন্তরিকতা ও গুরুত্ব দিয়ে করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে ডিএনএ স্যাম্পল পাঠিয়েছি। ওখান থেকে আসা প্রতিবেদনে দুজন সাসপেক্টের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এই দুজন সাসপেক্টকে আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। তাঁদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে এই মামলার তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‌্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‌্যাব। তবে এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।