আন্তর্জাতিক আইন মেনে সমুদ্র মহড়ার দাবি চীনের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) গভীর সমুদ্র মহড়া আন্তর্জাতিক আইন মেনেই পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়াখুন এ দাবি করেন। খবর: এনডিটিভি।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে তিনটি চীনা যুদ্ধজাহাজের লাইভ-ফায়ার ড্রিল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন কুও।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলোকে দেখা যাওয়ার পর থেকে তাদের ওপর নজরদারি করে। কুও চিয়াখুন বলেন, পিএলএ সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের একটি চীনা নৌবহর গভীর সমুদ্র মহড়া পরিচালনা করছে। মহড়াটি নিরাপদ, পেশাদার পদ্ধতিতে এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক অনুশীলন অনুযায়ী পরিচালিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ মহড়ার কারণে ওই পথে চলাচলকারী উড়োজাহাজগুলোকে গতিপথ পরিবর্তন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারেলস। চীনের এ মহড়ায় অংশ নিতে তাসমান সিতে উপস্থিত হয়েছে তিনটি নৌ জাহাজ, যা বিরল ঘটনা। নৌ-জাহাজের এই উপস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলের দেশগুলো সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সতর্কাবস্থায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এ মহড়াকে নজিরবিহীন না বললেও ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেছে।

চীনের নৌবাহিনী শুক্রবারই আন্তর্জাতিক জলসীমায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূলে এ মহড়া শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে এক সংক্ষিপ্ত নোটিস দেয়। অস্ট্রেলিয়া এ নোটিশ পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কান্তাস, এমিরেটস এবং এয়ার নিউজিল্যান্ড এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন পথ বদল করে। মহড়া চালাতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর ফ্রিগেট জাহাজ, ক্রুজার এবং ট্যাংকার জাহাজ গত সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাগরে প্রবেশ করেছে এবং এ সপ্তাহে জাহাজগুলো দেশটির পূর্ব উপকূলে গেছে।

চীন কেন ওই অঞ্চলে তাজা গোলাগুলির মহড়া চালাতে চায় এবং বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন এড়াতে আরও নোটিস কেন দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।