আপনজন মাদকাসক্ত নয়তো!

ছেলেটি সবাইকে নিয়ে আমোদ-ফুর্তিতে মেতে থাকত। হঠাৎ কেমন যেন নির্জীব আর অন্যমনষ্কভাবে একা থাকতে পছন্দ করে। কখনও কখনও অযাচিত বেশি কথা বলছে

  1. প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাতে একা একা ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকতে বেশি পছন্দ করছে
  2. নতুন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেীি সময় দিচ্ছে, পুরোনো ভালো বন্ধুদের এড়িয়ে যাচ্ছে
  3. বিভিন্ন অজুহাতে টাকার চাহিদা বেড়ে চলেছে। কোনো কোনো সময় বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাচ্ছে
  4. পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার টেবিলে বসছে না, খাওয়া-দাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে
  5. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। চেহারায় নমনীয়তা কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ওজনও। মাঝে মাঝে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে
  6. অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকছে। আর দিনের অনেক সময় ঘুমিয়ে কাটায়
  7. কোনো কোনো সময় দিনরাত সর্বক্ষণ জেগে থাকে, এমনকি দু-তিন দিন পর্যন্ত ঘুমায় না
  8. চা খাওয়ার প্রবণতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। বেশি মিষ্টি চা কিংবা কখনও কখনও চকোলেটও খাচ্ছে
  9. একটা নির্দিষ্ট সময়ে অস্থির আচরণ করছে। প্রচুর ঘামছে অথবা সবার চোখের আড়াল হয়ে যওয়ার প্রবণতা বাড়ছে
  10. মিথ্যা কথা বলছে এবং তা ক্রমাগত বেড়েই চলেছ
  11. বিবাহিত হলে যৌনক্রিয়ার ক্রমশ অনীহা ও যৌনক্ষমতা লোপ পাচ্ছে

 

  1. স্বাভাবিক কাজকর্মে ক্রমশ অনীহা দেখা দিচ্ছে। পায়খানা স্বাভাবিক হচ্ছে না। বাথরুমে আনেক সময় কাটায়
  2. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে অনীহা। প্রায়ই ময়লা কাপড় পড়ছে ও কাপড়ে বাজে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে
  3. ধূমপান বেড়ে গেছে। ঘরেও সিগারেটের আলগা তামাক পাওয়া যাচ্ছে
  4. বাড়ির লোকদের সঙ্গে আগের মতো বনিবনা হচ্ছে না এবং তা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে

যদি এমন একাধিক ঘটনা আপনার আপনজনের কারও চালচলনে পরিলক্ষিত হয়, তবে তাকে মাদকাসক্ত সন্দেহ করা অযৌক্তিক নয়। এমন একাধিক লক্ষণ আপনার আপনজনের মধ্যে পরিলক্ষিত হলে তাকে সুস্থ জীবনে ফিরে আনার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।