জাবির ছাত্রলীগ সভাপতিকে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি

আপনি নিজেই একজন মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী!

প্রতিনিধি জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শাখা সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল নিজেই একজন ৪২ ব্যাচের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী। তার হলে থাকার কোনো অধিকার নেই বলেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি।

শনিবার  বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে অনুষ্ঠিত নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সংহতি সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন পারভীন জলি।

এসময় তিনি ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনাব আক্তারুজ্জামান সোহেল আপনি কোন সাহসে দেন-দরবারে একটি বিষয় নিয়ে উপাচার্যের কাছে যান? আপনি নিজেই ৪২ ব্যাচের একজন মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র।

যেখানে পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করতে, সেখানে ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি কিভাবে উপাচার্যের কাছে দেন-দরবার করতে যান? তাহলে এখান থেকেই বোঝা যায় প্রশাসনের কতটা সদিচ্ছা আছে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করার।
তিনি আরও বলেন, এই সাধারণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কখনো তাদের স্বপক্ষে একবারও দাঁড়ায়নি। এ যাবতকালে ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না, তাতে ছাত্রলীগ এই ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না।

যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সাথে যুক্ত ছিলেন তারাই হলগুলোতে প্রভোস্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন? অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। প্রভোস্টদেরকও এই ঘটনায় জবাবদিহিতায় আনতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনেট সদস্য ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দিন খান। তিনি বলেন, এত সব ঘটনার পরও প্রশাসন কতটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকের বিস্তার লুকিয়ে রাখা যায় না। অংশীজনদের সাথে নিয়ে মাদকের ব্যবহার পুরোপুরি কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সেল গঠন করে বসে থাকলেই চলবে না।

এর সাথে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জড়িত। এখ‌নো বিভিন্ন হ‌লে যা‌দের ছাত্রত্ব অ‌নেক আ‌গেই সম্পূর্ণ হ‌য়ে‌ছে তারা বহাল ত‌বিয়‌তে আ‌ছেন । আ‌মি জান‌তে পে‌রে‌ছি যারা নন এলো‌টেড কিংবা যারা রাজনী‌তিক ভা‌বে সম্পৃক্ত নয় যা‌দের খুঁ‌টির জোর কম তা‌দের‌কেই কেবল মাত্র হল ছাড়া করার কিছুটা ব‌্যবস্থা গ্রহ‌ণের আই ওয়াশ কর‌ছে। পাঁচ দিনের হল গুলো খালি করার উদ্যোগকে দৃশ্যমান করতে হবে।

এসময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

১০-০২-২০২৪