আপিল করার সুযোগ শেষ হচ্ছে আজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত ৪৩১টি আপিল আবেদন হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি আবেদনে মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় অসত্য তথ্য দেয়ার অভিযোগে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চাওয়া হয়েছে। বাকিরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক বলেন, ‘(শুক্রবার) আপিল আবেদনের চতুর্থ দিন আরও ৯৩টি দরখাস্ত জমা হয়েছে। চার দিনে মোট ৪৩১ জন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইসিতে আবেদন করেছেন।’

এর মধ্যে প্রথম দিন ৪২টি, দ্বিতীয় দিন ১৪১টি, তৃতীয় দিন ১৫৫টি এবং চতুর্থ দিন ৯৩টি আপিল আবেদন জমা পড়ল। এবার সব মিলিয়ে দুই হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাকিরা ২৯টি দলের প্রার্থী।

বাছাইয়ে ৪২৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিলে তাদের অধিকাংশের প্রার্থিতা বাতিল হয়। আর দলীয় প্রার্থীদের বেশিরভাগের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় ঋণখেলাপি কিংবা হলফনামায় অসত্য তথ্য দেয়ার কারণে।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আপিল কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যারা আপিল করেছেন, তারা ন্যায় বিচার পাবেন।’

ছোটখাটো ভুলত্রুটির ক্ষেত্রে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়া যাবে কি নাÑএ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা কমিশন বিবেচনা করবে, অ্যাডভান্স তো বলতে পারি না। কমিশন অবশ্যই ন্যায়বিচার করে তাদের আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

যারা মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে কমিশনে ঘুরছেন, তাদের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘সময়মতো হাজির হয়ে যদি তারা মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তারা হাইকোর্টে যেতে পারেন। হাইকোর্ট যদি নির্দেশনা দেয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন। হাইকোর্ট থেকে যদি তারা প্রতিকার না পান, সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় নেই।’

১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।