শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক বন্যায় অন্তত ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। খবর: দ্য টেলিগ্রাফ।
গত বুধবার মন্ত্রণালয় জানায়, মৃতের পাশাপাশি বন্যার কারণে নাগরিকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মৌলভী শরাফুদ্দিন মুসলিম বলেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। যাদের ঘর বন্যায় ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে বন্যাও হয়েছে অনেক জায়গায়। বন্যায় ডুবেছে কুনার, নানগারহার, নূরিস্তান, লাঘমান, পাঞ্জশীর, পারওয়ান, কাবুল, কাপসিয়া, ময়দান ওয়ারদাক, বামিয়ান, গজনি, লোঘার, সামানগান, সার-ই-পুল, তাখার, পাকতিয়া, খোস্ত ও দাইকুন্দি প্রদেশ।
কুন্দুজ প্রদেশের বাসিন্দা আহমাদুল্লাহ বলেন, হাজার একর জমি বন্যায় তলিয়ে গেছে। এখনও কিছু জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
নানগারহার প্রদেশের বাসিন্দা হামিদুল্লাহ সিনওয়ারি বলেন, গত রাতে ভারী বর্ষণের ফলে একটি ঘরের ছাদ ধসে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে দেশটিতে এক ভূমিকম্পে হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।
আফগানিস্তান মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে তালেবানের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার বলখি বলেন, সরকার আর্থিকভাবে জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে অক্ষম। দাতা সংস্থা, প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্ব শক্তিগুলো সাহায্য করছে। কিন্তু সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। কারণ এমন বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও বন্যা কয়েক দশক ধরে দেখা যায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ জরুরি আশ্রয় ও খাদ্য সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সংস্থাটি দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে। তবে ভারী বর্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।