শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে কভিড-১৯-এর নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ১৩৯। গতকাল দেশটির স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড কিংডম হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: দি গার্ডিয়ান।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যে হারে ওমিক্রনে আক্রান্ত বাড়ছে তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে দ্রুতগতিতে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়বে যুক্তরাজ্যে। কেননা দেশটির সর্বত্র দ্রুতহারে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাস শেষ হওয়ার আগে দেশটিতে প্রাধান্য বিস্তার করবে কভিডের এ ভ্যারিয়েন্ট।
গত শুক্রবারের পর থেকে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় উল্লম্ফন দেখা গেছে। সেদিন ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন ৪৪৪ জন। তাদের মধ্যে একজন স্কটল্যান্ডের, বাকি রোগীরা ইংল্যান্ডের। তবে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হননি।
গত ২৪ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রনের সংবাদ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার জনস্বাস্থ্য ও জীবাণু বিশেষজ্ঞরা। এর দুই দিনের মাথায়, ২৬ নভেম্বর ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৫৭টি দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১৯৪ জন। মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক কোটি ৭১ লাখ ৯ হাজার ১৬৫ জন। দৈনিক ১২০ জন মারা যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত এ রোগে দেশটিতে মারা গেছেন মোট এক লাখ ৪৬ হাজার ২৫৫ জন। এ পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭৬ দশমিক তিন শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৯ দশমিক ছয় শতাংশ। তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৩ দশমিক এক শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গ মৃদু। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনও পড়ছে না।
এদিকে ভারতে যে ৩৩ জনের মধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, তাদের তেমন কোনো জটিলতা নেই বলে দেশটির স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রোগীদের দুর্বলতা, গা ও মাথাব্যথার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি, যেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। এ পর্যন্ত বিশ্বে ওমিক্রনের কারণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে টিকা নেয়া, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।