Print Date & Time : 6 July 2025 Sunday 3:17 am

আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পরামর্শ এনবিআরের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার ইস্যু নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত শনিবার সন্ধ্যায়  রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এসডিজি সচিব লামিয়া মোর্শেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তবে বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তরফে সরকারি বিভিন্ন আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এলএনজি, গমসহ যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা সম্ভব এবং সরকারের প্রয়োজন, তা সেখান থেকেই বাড়তি (খরচ হলেও) আমদানি করে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য-ঘাটতি কমানোর জন্য পরামর্শের বিষয়টি বলেছেন এনবিআরের এক কর্মকর্তা।

এনবিআরের নীতি শাখার এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এর বাইরে তারা কিছু পণ্যের তালিকা করে দিয়েছেন, যেগুলোর আমদানি শুল্ক কমানো যায়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের আমদানি পর্যায়ে কত শুল্ক রয়েছে, কোথায় কত প্যারা ট্যারিফ বা শুল্ক রয়েছে এবং তা থেকে কত শুল্ক আদায় হয়, তা বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষণ প্রস্তুত করেছে এনবিআর।

এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে পণ্য আসে বাংলাদেশে, যেখানে বলা হয়েছে যে আমরা ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি, এটা ভুল। আমাদের রিভিউ করে দেখা গেছে, আমাদের ইফেক্টিভ রেট হচ্ছে পাঁচ শতাংশেরও কম। তার মানে যদি আমদানি না বাড়াই, আর যদি ডিউটি (শুল্ক) জিরোও করা হয়, লাভ নেই। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, আমদানি শুল্ক জিরো করলেও যে আমদানি বাড়বে, তা কিন্তু নয়, বলেন তিনি। এদিকে মার্কিন শুল্কারোপ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এ তালিকায় বাংলাদেশও আছে। এখন থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।