আমাদের ইমপ্রোভাইজেশন ডিরেক্টরকেও প্রভাবিত করেছিল: তিশা

শোবিজ ডেস্ক: ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া, এসকে মুভিজ ও ইরফান খান প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘ডুব’। চলচ্চিত্রটির অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন হারিয়ে যাওয়া ‘ফোর অ্যাঞ্জেলস’-এর অন্যতম পরী তিশা। ‘ডুব’ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

প্রশ্ন করার আগেই সোফায় হেলান দিয়ে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে বলতে শুরু করেন তিশা, ‘টেলিভিশনের পর একটা গ্যাপ নিতে চাইছিলাম। অন্তত চলচ্চিত্রের চরিত্রচিত্রণে। কিন্তু ডুব-এর স্ক্রিপ্ট পড়ে আর ইরফান খান প্রধান চরিত্রে শুনে এতটা লোভী হয়ে উঠলাম যে গ্যাপ নেওয়ার চিন্তাকে গ্যাপে ফেলে দিলাম। সম্মত হলাম ডুব দিতে।’

বিপরীত চেয়ারে বসে প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন ছোটে তিশার দিকে। ‘ইরফানের সঙ্গে অভিনয় প্রসঙ্গে অনেক কথাই বলেছেন। আজকের কথোপকথনে নতুন কিছু বলবেন?’ সুখস্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন যেন টেলিভিশন-কন্যা। অনেকটা ধীর স্বরে বললেন, ‘এই চলচ্চিত্রের পুরো অভিযাত্রা আমার জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। ইরফান খান কেন এত বড় তা বুঝতে পেরেছি তার সঙ্গে কাজ করে। এই কাজের জন্য তিনি অল্প সময়ে বাংলা যতটুকু সম্ভব শিখেছেন। খুবই সহযোগিতাপরায়ণ মনোভাব। অহমিকাহীন। আমার ইমপ্রোভাইজেশনের দিকে ঝোঁক থাকে সব সময়। চরিত্রকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে গিয়ে সংলাপে অনেক সময় ইমপ্রোভাইজ করি। ভেবেছিলাম ডুব-এ ঝামেলা হতে পারে। পরে দেখি ইরফান ইমপ্রোভাইজ মাস্টার। ফলে দুজনের ভাবটা আরও বেশি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ইমপ্রোভাইজেশন ডিরেক্টরকেও প্রভাবিত করেছিল।’

একদিকে প্রথাবদ্ধ বাণিজ্যিক উপকরণে ঠাসা ‘মেন্টাল’ বা ‘অস্তিত্ব’ ঘরানা, অন্যদিকে ‘ডুব’-এর মতো চলচ্চিত্র। তিশার অভিনেত্রী মন কোনটির সমর্থক? নাকি দুটিই একসঙ্গে চালাবেন তিনি? ‘আমি যে কোনো ঘরানার স্ক্রিপ্টে কাজ করতে চাই।’ প্রশ্নের উত্তরে বলতে শুরু করেন তিশা। বলে চলেন, ‘আমার মন যেটা টানবে তাতেই আমি কাজ করব। চলচ্চিত্রকে ভালো বা মন্দের ক্যাটাগরি দিয়ে ভাবি আমি। অন্য কোনো বিশেষণে ভাবি না।’ তিশার কথা চলতে থাকে, ‘নাচ, মডেলিং বা গান সব করেছি। তবে ভালোবাসাটা বেশি বোধ করি অভিনয়ে। দর্শকের ভালোবাসাও বেশি মিলেছে অভিনয়ে। ফলে আমার সব সময়, শক্তি বা মনোযোগ এখন অভিনয়ে নিবদ্ধ করেছি আমি।’

ছবিয়ালের অফিসের টেলিভিশনে দুর্দশাগ্রস্ত এবং মিয়ানমারে অমানবিকতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে প্রতিবেদন চলছিল। রোহিঙ্গা নিয়ে যে সংকটের মুখে বাংলাদেশ তা নিয়ে কী ভাবনা এমন প্রশ্নে অনেকটা সতর্ক যেন ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’ অভিনেত্রী। সতর্কতার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যি অমানবিক। আমি শিল্পী হিসেবে আমার সাধ্যমতো করেছি। কোনো প্রচারে যাইনি। পাশাপাশি এইটুকুই শুধু বলব, রাষ্ট্র-সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ভাবছে, তাদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারি যে কোনো পদক্ষেপে সঙ্গে আছি।’