আমাদের নদীগুলো যেন হারিয়ে না যায়

সুধীর বরণ মাঝি: দখলদারদের দখলতাণ্ডবে আমাদের নদীগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে। আজকে আর নদীর সেই যৌবন নেই, নাব্যতা নেই, সমস্ত নদীই আজ প্রায় দূষিত, দখলদারদের কবলে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা নদী প্রবাহই যে আমাদের জীবনপ্রবাহ এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি-পরিবেশের ওপর যে জনগোষ্ঠী গড়ে উঠে, তার ধ্বংস সাধনের মধ্য দিয়ে যে আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয় সেই জনগোষ্ঠীর জনজীবন বিপন্ন হতে বাধ্য। আজ বাংলাদেশের জনগণ ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক বিপন্ন দশার শিকার। স্বাভাবিকভাবেই এদেশের ভূ-প্রকৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এক কথায় গোটা জীবন প্রবাহ গড়ে উঠেছে নদ-নদীকে ঘিরে। সে জন্য নদীকে বলা হয় এদেশের প্রাণ। জনশ্রুতি আছে এদেশে এক সময় ১৬শ’ নদী ছিল। কবিয়ালরা বন্দনা গাওয়ার সময় এই তথ্য পরিবেশন করতেন। তারা বহ্মপুত্রকে বলতেন নদীগুলোর রাজা। জনশ্রুতি বাদ থাক বিশেজ্ঞরাও বলেছেন এদেশে ১২শ’ নদ-নদীর নাম পাওয়া যেত। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ শতাধিক নদ-নদী এবং ৫৭টি আন্তঃদেশীয় সংযোগ নদী রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, সিকিম, এমনকি চীনও জড়িত। কিন্তু এখন ২৩০টির নাম আছে যদিও বাস্তবে সবগুলো সচল নেই।  নদীগুলো ধ্বংসে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত এক হয়েছে। ফলে অধিক হারে নদীকে দূষিত করা হচ্ছে, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করপোরেট ব্যবসায়ীরা। আমাদের পানির উৎস মূলত তিনটি; আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহ, বৃষ্টি ও ভূগর্ভস্থ পানি। এর মধ্যে নদী প্রবাহের অবদান দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৭৬.৫%), বাকি দুটোর অবদান যথাক্রমে ২৩% ও ১.৫%। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ২৫টি নদী সহসাই শুকিয়ে যাবে, পাশাপাশি চলছে ক্ষমতার প্রভাবে নদী, খাল ও জলাশয় দখলের উš§ত্ততা। আমাদের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত এবং পানি সম্পদকে রক্ষা করতে না পারলে আমাদের অবস্থা হবে হারাধনের ‘দশটি ছেলে’ গল্পের মতো। আমাদের নদীগুলো দিয়ে বছরে কী পরিমাণ পানি প্রবহিত হয়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত, পানি প্রবাহ ও নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাঁওড়ের ধারণ ক্ষমতার ভারসাম্য কতটুকু, এই পানির কতটুকু সাগরে যায়, আর কতটুকু সেচ-গৃহস্থালি ও শিল্পকারখানায় ব্যবহার করি। নৌ-পরিবহনসহ মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য নদীর নাব্যতা কতটুকু প্রয়োজন, নদীভাঙন, বন্যা ও খরা রোধ করার জন্য কী করণীয়, ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কত, নদীগুলো দিয়ে কী পরিমাণ পলি আসে এবং সেগুলোর কী গতি হয় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সমন্বিত সমীক্ষার মাধ্যমে যে মহাপরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল আজ পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যেটা হচ্ছে তা অন্ধের হাতি দেখার মতো। তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থির জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। পানি সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ এ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোট জলাভূমির পরিমাণ ১৬০০০ বর্গ কিমি। অর্থাৎ এদেশের মোট আয়তনের ১১%। বিশ্ব বা স্থানীয় পর্যায়ে কী ঘটবে তা নির্ভর করে জীবনযাত্রা, পরিবেশগত নিরাপত্তা ও ন্যায়পরায়নতার ব্যাপারে মানুষের পছন্দ অপছন্দের ওপর। এক্ষেত্রে পানি হচ্ছে কেন্দ্রীয় বিষয়, যা আগে ছিল, এখনও আছে।

ইতিহাস অনেক সভ্যতার উত্থান পতনের সাক্ষী। যেমন সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয় ও অ্যাসিরীয়। এসব সভ্যতা এক সময় গড়ে উঠেছিল টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিসের অববাহিকায় নীল নদে ও তীরে, সিন্ধু ও পিত নদীর তীরজুড়ে। প্রাচীন গল্পগাথা, উপকথা, পবিত্রগ্রন্থগুলোর বাণী এবং ঐতিহাসিক রেকর্ডে রাজনৈতিক ও সামরিক ঘটনায় পানির ভূমিকা মনোগ্রাহী বর্ণনা পাওয়া যায়। সমসাময়িককালেও আমাদের এ দেশে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বিতর্ক তেমনই এক দৃষ্টান্ত। এ পানিই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে ক্ষেত্রে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলা যায়? ব-দ্বীপ বাংলাদেশের বাসিন্দা হিসেবে আমরা গঙ্গ-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী ব্যবস্থার আশীর্বাদপুষ্ট। নগর ও শিল্প খাতে, কৃষিক্ষেত্রে, লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণে দিন দিন দ্রুত আমাদের পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষি ও শিল্পদূষণ, শোধনহীন গৃহস্থালির বর্জ্য এবং কাঁচা পয়ঃব্যাবস্থা আমাদের পানিকে ক্রমাগত দূষিত করে চলছে। জলাভূমি ও মৎস্য সম্পদ আজ হুমকির মুখে। অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। জলাভূমির ওপর অন্যান্য চাপের মধ্যে রয়েছে ভরাট হয়ে যাওয়া ও বেদখল হওয়া। ভূ-গর্ভস্থ পানির কথা ধরলে এ সম্পদ সমগ্র দেশজুড়েই রয়েছে উল্লেখ করার মতো। বর্তমানে দেশের ৯০% সেচকাজ পরিচালিত অগভীর নলকূপের সাহায্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাধ্যমে। জাতীয় পানি পরিকল্পনা অনুসারে শুধু বোরো চাষের চূড়ান্ত পর্যায়ে মার্চ মাসের সব কাজে পানির চাহিদা ধরা হয়েছে ২৪৩৭০ মিলিয়ন লিটার। সব উৎস থেকে পাওয়া যাবে ২৩৪৯০ মিলিয়ন লিটার। অর্থাৎ ঘাটতি ৮৮০ মিলিয়ন লিটার। পানি হচ্ছে সবচেয়ে অগ্রধিকার প্রাপ্ত বিষয়। পানির দূষণ ঘটে নানা ভাবে ও নানা আকারে। যেমন আর্সেনিক দূষণ, কৃষি ও শিল্পকারখানার বর্জ্যজনিত দূষণ, ট্যানারি ও কাগজের মন্ডের রাসায়নিক দূষণ, টেক্সটাইলের রংজনিত দূষণ। একই সঙ্গে নদীকে এসব বর্জ্যরে ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছাভাবে। যে কেউ বুড়িগঙ্গার দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন নদীটি শিল্পবর্জ্য, অপরিশোধিত পয়ঃদ্রব্য ইত্যাদির দ্বারা মৃত্যুর দূয়ারে উপনীত হয়েছে। আসলে বুড়িগঙ্গার মতো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, ব্রহ্মপুত্র ও খুলনার পশুর নদীও জৈবভাবে মৃত। কাঁচা পয়ঃব্যবস্থায় প্রতিদিনই পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে, বিশেষ করে দ্রুত নগরায়নের বৃদ্ধির ফলে। নগরায়ন প্রক্রিয়ায় গতি বাড়ছে, সেই সঙ্গে দুটো যমজ সমস্যা পয়ঃনিস্কাশন ও নিরাপদ পানি প্রাপ্তি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। মানুষ তার স্বার্থের প্রয়োজনে লোকালয়ের পরিবেশ কতখানি বিনষ্ট করতে পারে বুড়িগঙ্গা নদীই তার জলন্ত উদাহরণ। এ নদীতে এক সময় ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ ধরা পড়েছে। অথচ নদীদূষণের ফলে এখন প্রাণের অস্তিত্ব বিলুপ্ত প্রায়। নদীর তীরের জমি দখল করে এর সৌন্দর্য ও মহিমাকে ধ্বংস করা হয়েছে। এক সময়ে যে নদী ছিল সুপেয় পানির উৎস সেই নদী এখন পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। ট্যানারিগুলোতে প্রতিদিন প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন চামড়া। এসব কারখানা থেকে নির্গত হচ্ছে প্রায় ৪.৭৫ মিলিয়ন লিটার দূষিত পানি এবং ৯ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য। এ বর্জ্য অত্যন্ত বিষাক্ত। এ শিল্প থেকে নির্গত কঠিন বর্জ্যরে মধ্যে রয়েছে লেদার কাটিং, ফ্লেশিং, লোম, চুন, ক্রোমিয়াম সø্যাজ। তরল বর্জ্যরে মধ্যে রয়েছে দ্রবীভূতচুন, হাইড্রোজেন, সালফাইড এসিড, ক্রোমিয়াম, তেল ও গ্রিজ জাতীয় পদার্থ। এতে শুধু পানিদূষণই নয়, পরিবেশ দূষণের মাত্রাও আশঙ্কাজনক। নদীর তীরবর্তী অসংখ্য মার্কেট, হোটেল, বসত বাড়ি, শিল্পকারখানা, অসংখ্য নৌযান থেকে নির্গত তেলসহ বিভিন্ন ধরনের টন টন আবর্জনা বুড়িগঙ্গার পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। পানিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন প্রতি লিটারে ৬ মিলিলিটার। কামরাঙ্গীর চর থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ আছে ২ মিলিলিটার। নদীদূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ধোলাইখাল সংযোগ স্থলে এর পরিমাণ শূন্য। তুরাগ নদীর উৎপত্তি হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। এ নদীর তীরবর্তী বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। নদী দখলের প্রতিযোগিতা শুধু বড় বড় শহর, নগর, বন্দর, গঞ্জেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সীমা এখন সর্বত্র।                                                                                               প্রাথমিক হিসেবে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী, সুরমা, কুশিয়ারা, কীর্তনখোলা, রূপসাসহ আরও অনেক নদী ভূমি আগ্রসনের মাধ্যমে নদীদূষণ আগ্রাসনে পড়েছে শহর তীরবর্তী প্রায় ৭৫টি নদী। সংবাদপত্র সূত্রে জানা যায়, দখলের ফলে প্রশস্ত ও খরস্রোতা নদী অনেক জায়গায় খালে পরিণত হয়েছে বা দিক পরিবর্তন করেছে। আর এ দখলদারদের মধ্যে রয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা, সামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও আড়তদার। ৬০-৭০ দশকে কথিত ছিল, যদি কোনো অসুস্থ লোক (চর্ম রোগ ও পেটের পীড়া) শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করে এবং পানি পান করে তবে সে সুস্থ হয়ে যাবে আর আজকে একবিংশ শতাব্দীতে এসে শীতলক্ষ্যা দূষণের ফলে এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছেছে যেখানে শীতলক্ষ্যার পানির দুর্গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এসব নদীর পানি রোগ ব্যাধির বাহকই শুধু নয়, এতে জীবন ধ্বংসকারী অনেক ক্ষতিকর উপাদান যেমন, ক্রোমিয়াম, লেড, মার্কারি, ক্যাডমিয়াম, আর্সেনিক, সিলভার প্রভৃতি পদার্থ রয়েছে। দূষণের কারণে এসব নদীর পানি শোধনেরও অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হালদার সঙ্গমস্থল থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পানি সরবরাহ, মৎস্য চাষ ও কৃষি কাজের অনুপযুক্ত। সার কারখানা, কাগজকল ও অন্যান্য শিল্পদূষণসহ নদীতে ভারী তেলের স্তর গোটা নদীকে বর্জ্যরে আধারে পরিণত করেছে। বর্তমানে ৩৮টি স্টেশনে ১৭টি নদীর পানি প্রতিমাসে পরীক্ষা করা হয়। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, বুড়িগঙ্গা, সুরমা, হালদা, ডাকাতিয়া, করতোয়া, বালু, ভৈরব, মধুমতি ও ঘাঘট। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার নদীগুলোই প্রধানত দূষিত। বাংলাদেশ শিল্প ক্ষেত্রে উন্নত না হলেও নদী তীরে যেসব কলকারখানা রয়েছে সেগুলোই দূষণের অকৃপণ উৎস। দীর্ঘ দু’দশকের পর্যবেক্ষণের নিরিখে বলা যায়, শিল্পবর্জ্য ছাড়াও মানবদেহের বর্জ্য ও হাসপাতালের বর্জ্য নদীদূষণের অন্যতম উৎস। দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। এক সময়ের স্বচ্ছ ও সুপেয় পানির এই চঞ্চলা নদী আজ শীর্ণকায় এক মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। মালিক শ্রেণি বাজার দখলের মতো নদী দখল করে নদীকে দূষিত করে তুলছে। নদী দখল, নদীদূষণ, অবৈধ বালু উত্তোলন সবই হচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে। পরিবহণ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে নদীর ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজলভ্য। দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে নদীর অপরিসীম চাহিদা, ব্যবহার অবদানের কথা বলে শেষ করার মতো নয়। আমাদের নদীগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। একটি কার্যকর নদী কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশনকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের স্বাধীনতা দিতে হবে। কমিশনের কাজে যদি কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কমিশনের কাজ হবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবাযন করা। সামাজিক গণ আন্দোলনের মাধ্যমে সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। দখলদার এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক কার্যকর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী এবং পানি সম্পদ রক্ষায় জনগণের করণীয় কী? এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা ও প্রকাশনা বের করতে হবে। নদী ও পানি সম্পদ রক্ষা করতে না পারলে আমাদের কী কী ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে তার সচিত্র প্রতিবেদন মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। জনগণকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে কর্মসূচি প্রণয়ন ও পালন করতে হবে। আজকের এ পরিস্থিতিতে নদী দখল রোধ ও দূষণমুক্ত করতে হলে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে আইনের সঠিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে। দেশ বরেণ্যে কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে রাজনৈতিক নেতাদের।

হাইমচর,  চাঁদপুর