Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 9:28 pm

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির (বিইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা কাজী আজহার আলীর বড় ছেলে তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক)’ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স’; ২০০৩ সালে ‘হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’ থেকে আইটিতে (ইনফরমেশন টেকনোলজি) ‘মাস্টার্স অব সায়েন্স’ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে অরিয়ন টেকনোলজির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে মাইক্রোসফট করপোরেশনের ‘সিনিয়র টেকনোলজি আর্কিটেক্ট’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। এখন তিনি সরকারের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে

কীভাবে ‘বিইউ’ পরিচালিত হয়?
কাজী জামিল আজহার: উপাচার্য মহোদয় ২০১০ সালের ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ অনুসারে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন। অনুষদ, বিভাগের উন্নয়ন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য কল্যাণকর পদক্ষেপ নিজ নিজ অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানরা তার কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করেন। তিনি প্রয়োজনে নিজেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেসব প্রস্তাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভায় তিনি উত্থাপন করেন। ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। আমরা যারা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, তাদের সম্মিলিত আলোচনা, সিদ্ধান্ত ও উপাচার্য মহোদয়ের সম্মতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

বিজ্ঞান-প্রযুক্তিনির্ভর, কর্মোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছেন কেন?
কাজী জামিল আজহার : আমরা এমন সব বিষয়ে পাঠদান করে থাকি, যেগুলো পড়ে ছাত্রছাত্রীরা সহজে নিজেদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে সক্ষম হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক কর্মবাজারে নিজেদের যোগ্যতার মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে। তবে মানবসম্পদ উন্নয়ন কিংবা চাকরি লাভের জন্য লেখাপড়া শেখানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তারা যেন সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগে দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য সব বিভাগে আবশ্যকীয় ও মৌলিক কোর্স হিসেবে ‘ইংরেজি’, ‘গণিত’ ও ‘কম্পিউটার শিক্ষা’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিইউ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ছাত্রছাত্রী ‘গ্র্যাজুয়েশন’ করেছেন। তারা বাংলাদেশের নামকরা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক কোম্পানি, মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আইটি ফার্মসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে চাকরি করছেন।
আরও উন্নয়নের জন্য কী কী পরিকল্পনা নিয়েছেন?
কাজী জামিল আজহার: আমরা নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণাসহ সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিই। বিভাগগুলোকে আরও উন্নত করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। যেমন ‘সিএসই’ ও ‘ইইই’ বিভাগে এমএসসি, অর্থনীতি ও সমাজবিজ্ঞানে ‘মাস্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস)’ ডিগ্রি চালু করা হবে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতে স্নাতক পর্যায়ে ‘শারীরিক শিক্ষা’, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা’, ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং’ কোর্স চালু করার পরিকল্পনা করছি। বিভাগগুলোর গবেষণাগারগুলোকে আরও সম্প্রসারণ, উন্নত করাসহ আধুনিক গবেষণাযন্ত্র সংযোজনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে গবেষণার
সুযোগ ও মান বাড়বে। আমাদের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও গবেষকরা গবেষণা খাতে আরও অবদান রাখতে পারবেন।