আয় বেড়েছে সিটি, সিকদার ও রূপালী ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিটি ইন্স্যুরেন্স পিএলসি, সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিটি ইন্স্যুরেন্স পিএলসি: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ৫ পয়সা। এদিকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৭৫ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসম্বরে ছিল ২১ টাকা ১৫ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৭৯ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৫ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪৪ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ছয় কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার।

সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা। এদিকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫৭ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১১ টাকা ৯৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৫৭ পয়সা ছিল।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার।

রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ৪ পয়সা। এদিকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭৬ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২০ টাকা ৪১ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৩৪ পয়সা ছিল।

বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪১১। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বাকি ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।