নিজস্ব প্রতিবেদক: রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড (আরএসআরএম স্টিল) ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়াও কোম্পানিটি তিনটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ বোনাসসহ মোট ২২ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও রাইট শেয়ার-সংক্রান্ত বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আগামী ১২ অক্টোবর বেলা ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর।
কোম্পানিটি তিনটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট ছাড়তে চায়। এজন্য কোম্পানিটির ১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ারের সঙ্গে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ইস্যু মূল্য হবে ২৫ টাকা। এজন্য বিনিয়োগকারী ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মতি নেওয়া হবে।
গতকাল শেয়ারদর এক দশমিক ৪৩ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৮২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮১ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৯ লাখ ৯৫২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৫৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৬ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল পাঁচ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস। এ সময় কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৪৫ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৪১ টাকা ছয় পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৩৬ পয়সা ও ৪৫ টাকা ৬৩ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ২৭ কোটি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে আট পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪২ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৪৬ টাকা ৯৯ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা দুই পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩৯ টাকা ৫৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪১ টাকা ছয় পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে দুই টাকা ছয় পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি ছিল ৪২ টাকা ৪৪ পয়সা, যা আগের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৪১ টাকা ছয় পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৫ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের ৩৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।