আরও বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক : জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও বিপননকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের বৃহত্তম সদস্য রাশিয়া খনি থেকে তেলের উত্তোলন সীমিত রাখায় গত মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মন্দাবস্থা চলার পর বাজারে ফের চাঙাভাব শুরু হয়। গতকাল বুধবারও কিছুটা বুদ্ধি পায় তেলের দাম। খবর: রয়টার্স ও আনাদোলু এজেন্সি।
মঙ্গলবার ব্রেন্ট ক্রড অয়েল এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বাড়ে। বাজার পর্যবেক্ষণকারী নানা সংস্থা জানায়, প্রতি ব্যারেল (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট বিক্রি হয়েছে ৭৬ দশমিক ২১ ডলারে। আগের দিন সোমবারের চেয়ে এই দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। একই দিন ডব্লিউটিআই ব্র্যান্ডভুক্ত অপরিশোধিত প্রতি ব্যরেল তেল বিক্রি হয়েছে ৭২ দশমিক ৫৫ ডলারে। ব্রেন্টের মতো ডব্লিউটিআই ব্র্যান্ডে তেলের দামবৃদ্ধির হারও শতকরা দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

এরপর বুধবার ব্রেন্ট ফিউচারস ৫২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ ডলার ৪৮ সেন্টে। ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৫৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ সেন্ট বেড়ে হয় ৭২ ডলার ৭৮ সেন্ট। সব মিলিয়ে গত তিনদিনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের এই দুই তেলের দাম যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ ও ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেল। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া এবং ওপেক প্লাসের অন্য সদস্যরাষ্ট্রের দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ হ্রাসই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রুশ তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা প্রদান করায় ২০২২ সালের প্রথম কয়েক মাস হু হু করে বাড়ছিল তেলের দাম। কিন্তু ডলার সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন দেশ তেল কেনার পরিমান কমিয়ে দেয়ায় এক সময় পড়তে শুরু করে তেলের দাম।

ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব ছিল। এ পরিস্থিতিতে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে গত বছর রাশিয়া এবং ওপেক প্লাসের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্ররা তেলের দৈনিক উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও তেলের দৈনিক উত্তলন হ্রাসের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে ওপেক প্লাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত এ কারণেই ফের ধীরে ধীরে চাঙ্গাভাব ফিরে আসছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে।
আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটি ৯ দশমিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে।