Print Date & Time : 7 August 2025 Thursday 2:19 am

আরো ১০ হাজার টন চাল, সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সপ্তম দফায় আরও ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার ৮০০ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এবং এক কোটি ৬০ লাখ টাকা শিশু খাদ্য কিনতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সোমবার (২৭ এপ্রিল) এই বরাদ্দ দিয়েছে।

মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে দেশে লকডাউন শুরুর পর থেকে ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকার সর্বমোট ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দিল সরকার।

এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে জেলা প্রশাসকদের ‘দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করে বিধায় বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীকে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে।

আর শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জি টু জি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই দুধ দেওয়া যাবে না।

এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।

যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।