শেয়ার বিজ ডেস্ক: আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া, স্থানীয় মুদ্রা পেসো বাতিল করা, সরকারি ব্যয় কমানো এবং বড় রকমের সংস্কার কর্মসূচি চালানোর কথা জানিয়েছেন। তার মতে, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতির খোলনলচে রীতিমতো বদলে যাবে। খবর: সিএনএন।
অর্থনৈতিক উদারবাদী হিসেবে পরিচিত হাভিয়ের মিলেই এভাবে আর্জেন্টিনার অর্থনীতিতে ‘শক থেরাপি’ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে সংকটে জর্জর আর্জেন্টিনা। মূল্যস্ফীতির হার ১০০ শতাংশের বেশি। অর্থনৈতিক মন্দা ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। পাশাপাশি বাড়ছে দারিদ্র্য। রাজনীতির মূল ধারার প্রতি সাধারণ মানুষের যে তীব্র ক্রোধ দেখা গেছে, সেই স্রোতে চড়েই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছেন ৫৩ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ মিলেই। সংকট উত্তরণে তিনি নানা অঙ্গীকার করেছেন।
ভোটের ফল ঘোষণার পর হাভিয়ের মিলেই বলেন, অধঃপতনের যে মডেল, তার সমাপ্তি ঘটেছে, আর পেছনে ফেরা যাবে না। আমাদের সামনে এখন বিপুল সমস্যা মূল্যস্ফীতি, কাজের অভাব ও দারিদ্র্য। পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন, এখন থেকে আর আধাআধি কোনো কাজ করা যাবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, পেসোর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। হাভিয়ের মিলেইয়ের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলোÑআর্জেন্টিনার অর্থনীতিকে ডলারাইজ করা বা ডলারভিত্তিক করা। এর মানে হলো, পেসো বাতিল করে ডলারকে দেশের অভ্যন্তরীণ লেনদেনে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করা। এটা বাস্তবায়িত হলে আর্জেন্টিনা এমন একটি পথে হাঁটবে, যে পথে এত বড় একটি দেশ এর আগে কখনও হাঁটেনি। আর্জেন্টিনার জন্য এটি আননোন টেরিটোরি বা অজানা একটি অঞ্চল। আর্জেন্টিনার নিজস্ব মুদ্রানীতির লাগাম কার্যত চলে যাবে ওয়াশিংটনে নীতিনির্ধারকদের হাতে।
মিলেই আর্জেন্টিনার মুদ্রা হিসেবে ডলারকে বেছে নেয়ার পক্ষে যে যুক্তি দিয়েছেন, তা হলো, ডলার পেসোর চেয়ে শক্তিশালী। আর চাইলেই ডলার ছাপানো যায় না, যেটা পেসোর ক্ষেত্রে করা যায়। লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডোর ও এল সালভাদর অবশ্য ডলারকে তাদের মুদ্রা বানিয়েছে। এই দুই দেশের লক্ষ্য ছিল মূল্যস্ফীতি কমানো।