শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজনৈতিক তহবিল-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে রাজস্ব কম বলে উল্লেখ করার অভিযোগে জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) পাঁচটি উপদলীয় রাজনৈতিক সংগঠনের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন টোকিওর সরকারি কৌঁসুলিরা। আর্থিক তথ্যে গরমিলের কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খবর: এনএইচকে।
জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের অভিযোগ পাওয়ার পর কৌঁসুলিরা স্বেচ্ছায় এই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। ওই অধ্যাপকের অভিযোগ অনুযায়ী, সংগঠনগুলো ২০২১ সাল পর্যন্ত চার বছরে রাজনৈতিক তহবিলের ক্ষেত্রে মোট প্রায় ৪০ মিলিয়ন ইয়েন বা প্রায় দুই লাখ ৬৭ হাজার ডলারের তথ্য উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, পাঁচটি উপদলের আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা সম্ভবত রাজনৈতিক তহবিল নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে তাদের তহবিলের প্রতিবেদনে কোনো তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে দুই লাখ ইয়েন বা প্রায় এক হাজার ৩৪০ ডলারের বেশি অর্থ দানকারী ব্যক্তি বা সংগঠনের প্রদত্ত পরিমাণের পাশাপাশি তাদের নামের রেকর্ডও রাখতে হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, দলীয় টিকিট বিক্রি থেকে পাঁচটি রাজনৈতিক গ্রæপ প্রায় দুই মিলিয়ন থেকে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ইয়েন পর্যন্ত আয়ের তথ্য উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
উপদলগুলোর তহবিল সংগ্রহকারী অনুষ্ঠানগুলোয় অর্থের প্রবাহের পাশাপাশি কীভাবে রাজনৈতিক তহবিল-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো তৈরি করা হয়েছিল, সরকারি কৌঁসুলিরা সম্ভবত এখন সেটি তদন্ত করে দেখবেন।
বিষয়টি ফুমিও কিশিদা মন্ত্রিসভার জন্য বিব্রতকর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে তহবিল তছরুপের অভিযোগে জাপানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিনোরু তেরাদা পদত্যাগ করেছেন। ওই এক মাসে তাকে নিয়ে মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের পদত্যাগের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ‘নড়বড়ে’ সরকারের ওপর ছিল বড় আঘাত। সেই রেশ কাটতে না কাটতে উপদলীয় রাজনৈতিক সংগঠনের এই তহবিল-সংক্রান্ত খবর সামনে এলো।