আলজেরিয়ার দাবানলে মৃত ৩০

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আলজেরিয়ায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তিউনিসিয়ার সীমান্তের কাছে আলজেরিয়ার এল টার্ফ, সেফিত এলাকাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে এ দাবানল। আর এতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর: বিবিসি।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামেল বেল্ডজুড জানান, দাবানল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অগ্নিনির্বাপক দল কাজ করে যাচ্ছে। হেলিকপ্টারে চড়ে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

দাবানলের কারণে বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ৩৫০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এল টার্ফ এলাকার অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। সেখানে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

সেফিত এলাকায় ৫৮ বছর বয়সী এক মা ও তার ৩৬ বছর বয়সী মেয়ে আগুনে মারা গেছেন। এ এলাকায় গ্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।

আলজেরিয়ার বনে প্রতি বছর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ৯০ জন লোক মারা গেছেন দাবানলে; আর ১ লাখ হেক্টরের বেশি বনভূমি পুড়ে গেছে।

গত বছর আগস্টে আলজেরিয়ার কাবাইয়েল অঞ্চলে আগুনের ঘটনাকে ‘নাশকতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভিন্ন এলাকাজুড়ে একযোগে প্রায় ৫০টি দাবানল শুরু হওয়ার ঘটনা ‘শুধু অপরাধীদের হাতই’ ব্যাখ্যা করতে পারে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

ইউরোপের পর আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকায়ও। জঙ্গলে ঘেরা পার্বত্য আলজেরিয়ায় পানির সমস্যা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে নিয়মিত। এরই মধ্যে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এমন হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহতার মুখোমুখি হতে হবে বিশ্বকে।

এদিকে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে গত বুধবার ধারাবাহিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় বিঘœ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে সেখানকার অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিচুয়ানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। অনেক জায়গায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবহার বেড়ে গেছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাঁধের ওপর নির্ভর করা হয়। কিন্তু অনেক জলাধার শুকিয়ে যাওয়ার বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট হয়েছে।