শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় তার মৃত্যু হয়েছে। খবর: বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাওয়াহিরিকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত রোববার কাবুলে সিআইএ পরিচালিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত হয় জাওয়াহিরি।
গত সোমবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে চালানো একটি অভিযান সফল হয়েছে। ওই অভিযানের বিষয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত জানাবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পরে বাইডেন বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওই সন্ত্রাসী নেতা আর জীবিত নেই। আমরা কখনও হারিনি। জাওয়াহিরি আমেরিকান নাগরিকদের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহিংসতা শুরু করেন। এখন ন্যায়বিচার করা হয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী নেতা আর নেই বলে জানান তিনি।
উচ্চপদস্থ একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ একটি আলকায়েদার লক্ষ্যবস্তুতে ‘সফল’ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান সপ্তাহান্তে চালানো হয়েছিল এবং কোনো বেসামরিক লোক তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলার সময় আলকায়েদার এই নেতা কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাকে লক্ষ্য করে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়। ওই বাড়িতে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেন, রোববার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় আমেরিকান ড্রোন হামলা হয়েছে। তিনি এ আক্রমণকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
আলকায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। তিনি ও আল-জাওয়াহিরি একসঙ্গে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। আল-জাওয়াহিরি মিসরের ইসলামি জিহাদ নামক জঙ্গি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের মে মাসে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর আল-জাওয়াহিরি আলকায়দার নেতৃত্ব নেয়।