শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারতের আসাম রাজ্যের প্রধান নদীগুলোয় পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত বন্যায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। বন্যাকবলিত ২৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা অন্তত ১১ লাখে দাঁড়িয়েছে। খবর: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে।
গতকাল দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বহু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবগঠিত বাজালি জেলা।
আসাম রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোর ২০০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ জেলাগুলোর এক হাজার ৭০২টি গ্রাম ডুবে গেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ৬৮ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র নেয়া হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৫০টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, টানা চার দিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো শহরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। নগরীটিতে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় সতর্কতা জারি করে প্রশাসন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিকভাবে ধসে পড়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিন্ম আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ী ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল এবং চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়েছে।
আসামের পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টিতে প্রতিবেশী মেঘালয় ও অরুণাচলের জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মেঘালয়ে হড়কা বান, বজ পাত ও ভূমিধসে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ভারতের ৬নং জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়েছে এবং বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ কারণে মহাসড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায়।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আসাম এবং মেঘালয় রাজ্যে জারি করা রেড অ্যালার্টের সময়সীমা রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।