আস্থা ফেরাতে যৌক্তিক লভ্যাংশ ঘোষণা জরুরি

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবস ধরে সূচক বাড়লেও লেনদেন আশানুরূপভাবে বাড়ছে না। এখনও তিনশ কোটির ঘরে রয়ে গেছে লেনদেন। আর লেনদেন না বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও পুরোপুরি ফিরছে না। এর মধ্যে আবার লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুম হলেও কিছু কোম্পানি আশারুরূপ লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়েছেন। ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত লংকাবাংলা ফিন্যান্স ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ৩০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিলেও ২০১৭ সালে মাত্র ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল ২০১৬ সালে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিলেও ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এছাড়া জুট স্পিনার্স, সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কোম্পানিগুলো ২০১৭ সালে কোনো  লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হলেও এসব শেয়ারের দর হু হু করে বেড়েছিল। একে তো নতুন বছরে বাজারের গতি বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে, সেইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর বছর শেষের ঘোষণাও যদি হতাশ করে তাহলে বাজারের প্রতি আস্থা ফেরানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাই লভ্যাংশ ঘোষণার আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি কোম্পানি মালিকদের ভাবতে হবে।

গতকাল পুঁজিবাজারে সব সূচক ও ৫৩ শতাংশ শেয়ারের দর বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৫৯ কোটি টাকা। মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ বা ৬৭ কোটি টাকা ছিল প্রকৌশল খাতের। এ খাতের ৭২ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। এ খাতের ওইমেক্স ইলেকট্রোড দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৪৮ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক ছিল। এ খাতের মতিন স্পিনিং দরবৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে মাত্র ৩৫ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাত থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা ছিল বিনিয়োগকারীদের। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় মাত্র ৩৫ কোটি টাকা বা ১০ শতাংশ।  এ খাতের মাত্র ২০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। এছাড়া আর্থিক খাতে ৬০ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে ৬৬ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। এছাড়া বিমা খাতের ৬৮ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে উঠে আসে এ খাতের রূপালী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল টিউবসের ১৩ কোটি টাকার, ইফাদ অটোসের প্রায় ১২ কোটি টাকা, এপেক্স ফুডসের প্রায় ১১ কোটি, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ১০ কোটি টাকার ও ফিনিক্স ফিন্যান্সের সাড়ে ৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।