Print Date & Time : 15 August 2025 Friday 6:20 am

আয়তন বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় বাজেট

কাজী সালমা সুলতানা: আজ জাতীয় সংসদে পাস হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট। এ বাজেট কতটুকু গণমুখী, জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনে কতটুকু সহায়ক হবে তা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেসব সমালোচনাকে আমলে নিয়ে বাজেট পাসের আগে কতটুকু সংশোধন হবে, তা বলা মুশকিল। সাধারণত সমালোচনাগুলো আমলে নেওয়া হয় না এবং ঘোষিত বাজেটের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেই তা পাস করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে সরকারের এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণীই বাজেট। এই এক বছরের হিসাব বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় থেকে করা হয়। আমাদের দেশে হিসাবটা করা হয় চলতি ক্যালেন্ডার বছরের জুলাই মাস থেকে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত। কোনো কোনো দেশে এটি একই ক্যালেন্ডার বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। আমাদের দেশের জাতীয় বাজেটের জন্য একই ক্যালেন্ডার বছর নির্ধারণের আলোচনা চলছে অনেকদিন হলো। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিও আছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, প্রচলিত রীতি ভাঙতে চাই না আমরা। তাই হয়তো জাতীয় বাজেটের হিসাবের সময়কালটা পুরোনোই রয়ে গেছে। যাক, এটি আজ আলোচনার বিষয় নয়।
গত কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বাজেটের আয়তন বৃদ্ধির এক প্রতিযোগিতা। যে করেই হোক গত অর্থবছরের আকারকে অতিক্রম করে নতুন বছরের বাজেট ঘোষণা করতে হবে। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙার তীব্র প্রতিযোগিতা। এ কারণে অনেক সময়ই দেখা যায়, বাজেটে আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি। যাকে সাধারণভাবে আমরা ঘাটতি বাজেট বলি। এই ঘাটতি বাজেট দেওয়ায় খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হয় না। কারণ নীতিনির্ধারকরা হয়তো ভালোভাবেই জানেন, যে পরিমাণ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ কার হয়েছে, তা অর্জিত হবে না। তাই ঘাটতি বাজেটের কারণে সরকারকে সমস্যাতেও পড়তে হবে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা না বাড়িয়ে আয়তন বা আকার বৃদ্ধি করে খুব সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও বাজেটের আকার বৃদ্ধি সরকারের সক্ষমতার একটি চিত্র। আর এই সক্ষমতার চিত্র পাওয়া যায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের বাজেটের ইতিহাস ৪৮ বছরের। এই ৪৮ বছরে যেসব বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, তার আকার কেমন ছিল একটু দেখে নেওয়া যাক। একটি রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণার সৌভাগ্য লাভ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তিনটি অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে ৯৯৫ কোটি টাকা এবং ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে এক হাজার ৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। এই পুরো সময়টাই ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের বাজেট। কিন্তু সে সময়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ও বৈদেশিক সাহায্যের জোগান কম থাকায় হয়তো প্রত্যাশিত আকারের বাজেট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানের সামরিক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাজেট দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের পর জেনারেল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত খন্দকার মোশতাক সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে এক হাজার ৫৪৯.১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে তিনি নিজেই এক হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা এবং ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে দুই হাজার ১৮৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেই আরও একটি বাজেট ঘোষণা করেন। ওই বাজেটের আকার ছিল দুই হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী ড. এমএন হুদা তিন হাজার ৩১৭ কোটি টাকার বাজেট দেন। এছাড়া ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান দুবার বাজেট ঘোষণা করেন। এ দুটি বাজেটের আকার ছিল চার হাজার ১০৮ কোটি এবং চার হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা দখল করেন। এরশাদের শাসনামলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে চার হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এরপর অর্থমন্ত্রী এম আবদুল মুনিম ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে ছয় হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে সাত হাজার ১৩৮ কোটি টাকা, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে আট হাজার ৫০৪ কোটি টাকা, ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে আট হাজার ৫২৭ কোটি টাকা এবং ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। পরবর্তী ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা এবং ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এম সাইফুর রহমানকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা এবং ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।
১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এ সময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এসএএমএস কিবরিয়া। তিনি ১৯৯৬-৯৭ থেকে ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ছয়টি বাজেট পেশ করেন। এগুলোর আকার ছিল ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা, ২০০০-০১ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা এবং ২০০১-০২ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা।
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আবারও এম সাইফুর রহমানকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এম সাইফুর রহমান ২০০২-০৩ থেকে ২০০৬-০৭ অর্থবছর পর্যন্ত আরও পাঁচটি বাজেট ঘোষণা করেন। এ আমলে বাজেটের আকারগুলো ছিল ২০০২-০৩ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা।
এরপর দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু সেই সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতার পথ বেয়ে গঠিত হয় সেনাবাহিনী-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সময়ে অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পান ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ এ দুটি অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। এ দুটি হচ্ছে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসে। এবারে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। এই বাজেটগুলো হচ্ছে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এক লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা এবং ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসে। এ মেয়াদেও আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। তিনি পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ১২ দশমিক ৬১ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ বড়। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অনুদান ছাড়া বাজেট ঘাটতি হতে পারে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। এ ঘাটতি চলতি অর্থবছরের বাজেটে ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে ২০ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকার। চলতি অর্থবছরে ঘাটতি রয়েছে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে নেওয়া হবে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাজেটকে দেশের সমৃদ্ধির প্রতিচ্ছবি বলা হয়। এ ক্ষেত্রে বাজেটের আকার বড় বিবেচ্য বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পাবে এটি স্বাভাবিক বিষয়। তাই বাজেটের আকারকে সমৃদ্ধির পরিপূর্ণ প্রতিচ্ছবি বলার সুযোগ কম। তবে এ কথা সত্য যে, ২০০৬-০৭ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় এ বাজেটে দেখা যাচ্ছে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। যদিও এ আয়ের হিসাবটি গড় করে বের করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫২ ডলারে। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার ছিল শতকরা ৪০ ভাগ। দারিদ্র্যের এ হার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হয়েছে ২৪.৩ ভাগ। অতিদারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ১২.৯ ভাগ, যা ২০০৬-০৭ অর্থবছরের ছিল ২৫.১ ভাগ। অন্যান্য সূচকও ইতিবাচক দিকেই রয়েছে। সমৃদ্ধির এ সোপানকে আরও গতিশীল করে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে হলে প্রয়োজন বিনিয়োগ পরিবেশ সহজ করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং আইনের শাসনের কঠোর প্রয়োগ। একই সঙ্গে প্রয়োজন ঘোষিত বাজেটের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। আগামী অর্থবছরে তা কতটুকু করা সম্ভব হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

গণমাধ্যমকর্মী
salma15august@ gmail.com