Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 5:57 pm

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে ২৭ জনের প্রাণহানি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইংলিশ চ্যানেলের ফ্রান্স উপকূলে বুধবার যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই যুক্তরাজ্যের অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে ফ্রান্সের উত্তরের উপকূলবর্তী শহর ক্যালের অদূরে নৌকাটি ডুবে যায়। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি মেয়েশিশু ও পাঁচ নারী রয়েছেন। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকে ইংলিশ চ্যানেলে এটাই সর্বাধিক প্রাণহানির ঘটনা।

দুর্ঘটনায় শঙ্কিত জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, মানব পাচারকারী চক্রকে থামাতে ‘কোনো চেষ্টা বাদ রাখবে না’ যুক্তরাজ্য। আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেলকে সমাধিস্থল হতে দেবে না। ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতিহত করতে যৌথ প্রচেষ্টা জোরালো করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন দু’দেশের প্রধান।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নিখোঁজ। এর আগে অবশ্য ৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন জেরাল্ড ডারমানিন।

মৎস্যজীবী নিকোলা মারগোল জানান, বুধবার ভোরে একটি খালি ডিঙ্গি ও কাছেই ১৫ জনকে নিশ্চল অবস্থায় ভাসতে দেখে উদ্ধারকারীদের খবর দেন, হয় তারা অজ্ঞান হয়ে ছিলেন অথবা মারা গিয়েছিলেন।

স্থানীয় মেরিটাইম প্রিফেকচারের এক কর্মকর্তা জানান, এর আগে ২০২০ সালে এ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন যাওয়ার চেষ্টাকালে  সাতজন মারা যান ও দুজন নিখোঁজ হন এবং ২০১৯ সালে চার জনের মৃত্যু হয়।

আরও পদক্ষেপ নিতে সম্মত যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স: এদিকে অভিবাসীদের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া ঠেকাতে ‘সব বিকল্প উপায় আলোচনায়’ রাখতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পাচারকারী চক্র মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও ফরাসি  প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন যে, ফরাসি উপকূলে পৌঁছানোর আগেই অভিবাসীদের ঠেকাতে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং ইউরোপের অন্য সহযোগীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

ব্রিটিশ সরকারের এক জরুরি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, মানুষকে সাগরে ঠেলে দেয়া ঠেকাতে পাচার চক্রের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দেয়া জরুরি। তিনি স্বীকার করেন, ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দেয়া ঠেকাতে এখন পর্যন্ত নেয়া ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। এ পদক্ষেপ জোরালো করতে ফ্রান্সকে আরও বেশি সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য।