নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের যোগ্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে থাকেন। আর এ প্রতিনিধি বাছাইয়ের মাধ্যম যত স্বচ্ছ হবে, জনবান্ধব প্রতিনিধি নির্বাচিত করা ততই সহজ হবে। প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়নের ওপরই দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে। সুতরাং নির্বাচন যতটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, ততই জনতার আশা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে। আমাদের দেশে যখন কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তখন তা উৎসবে পরিণত হয়। নির্বাচনের সময় যখন নির্ধারণ করা হয়, তখন শহরকেন্দ্রিক মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য নিজ নিজ বাড়ির দিকে ছুটে আসেন। পাশাপাশি দলবেঁধে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যান। আর এভাবেই সাধারণ জনতা নির্বাচনের আনন্দ উপভোগ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনে, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য গড়তে এবং উন্নতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করা জনগণের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ জনপ্রতিনিধিরা আমাদের মতোই সমাজের সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের মাঝে এমন কিছু অসাধারণ প্রতিভা বা গুণাবলি আছে, যা সমাজ ও সমাজের মানুষকে আলোকিত করবে। এজন্যই আমরা নির্বাচনে তাদের নির্বাচিত করি।
সাধারণ জনগণ চাইলে যে কাউকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে পারে। আমরা চাই সৎ, যোগ্য, ন্যায়বান, আদর্শবান পাশাপাশি চরিত্রবান একজন মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে নির্বাচিত হোক, যারা দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের বিপদে-আপদে সহযোগিতা করে পাশে থাকবে এবং ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
ভোটারদের উচিত নির্বাচনে অশিক্ষিত, অযোগ্য ও সুযোগসন্ধানী জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত না করা। পাশাপাশি শিক্ষিত, সৎ, ন্যায়বান ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করা। সুতরাং এলাকার উন্নয়ন তথা যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হলে অবশ্যই ভোট বিক্রি করা তথা অর্থলোভী হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্বাচন এলে দুষ্ট লোকেরা ভালো মানুষের মুখোশ পরে জনতাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদের কাজে ও কথায় কোনো মিল থাকে না। তখন প্রকাশ পায় তাদের আসল চেহারা। তাই নির্বাচনে জনতা যেন দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথায় যোগ্য জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার পরিবর্তে অযোগ্য জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
জাবেদুর রহমান
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ