নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেড এবং বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেড: আগামী ৪ মার্চ বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য যে ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং মোট এক কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৯২ দশমিক ৮০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ টাকা ৮৯ পয়সা। গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১২২ টাকা ২১ পয়সা। এছাড়া আলোচিত এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২৫ টাকা ৪৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪০ শতাংশ নগদ এবং ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ টাকা ১১ পয়সা।
পাইওনিয়র ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: আগামী ৫ মার্চ বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৭ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর রিজার্ভে রয়েছে ৩১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৭৮ লাখ ১ হাজার ৪২০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫ টাকা ৮০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৯৮ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ সর্বমোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৬২ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৬৬ পয়সা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ৮ টাকা ৬৫ পয়সা।