শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। তবে জ্বালানি তেলের নতুন উৎসের চাহিদা ২০২৩ সালে আফ্রিকার অর্থনীতির বড় সুযোগ হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে ইউরোপের নজর এখন আফ্রিকার দিকে। খবর: ইকোনমিস্ট।
সাব-সাহারান আফ্রিকানদের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ ছোট ছোট খামার আর জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। মালাউইর জনসংখ্যার ৮০শতাংশই কৃষক। সাব-সাহারান আফ্রিকা সামগ্রিকভাবে তার প্রয়োজনীয় খাদ্যের ৯৪ শতাংশ উৎপাদন করে, যদিও এ অঞ্চলেও খাবারসহ সব পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবারের দাম কেন এত দ্রুত বেড়েছে এবং কেন এটি ২০২৩ সালে চলতে থাকবে, তা বোঝার জন্য তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজার ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পরিবহন ও সারের খরচ বাড়িয়েছে। অথচ উভয়ই কৃষিতে অপরিহার্য উপকরণ। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আফ্রিকার অনেক অংশে সারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। তবে গ্যাস ও সার ২০২৩ সালে আফ্রিকাকে সুযোগ করে দিতে পারে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আবিষ্কৃত সব প্রাকৃতিক গ্যাসের ৪০ শতাংশের কম আফ্রিকায় মিলেছে। ফলে মহাদেশটি এখন বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের ১৩ শতাংশ ধারণ করে। আইইএ বলছে, তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে তারা।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ইউরোপের নজর এখন আফ্রিকার দিকে। ইউরোপে গ্যাস পাঠাতে চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পাইপলাইন নির্মাণে সমঝোতা পত্রে সই করে আফ্রিকার
তিন দেশ। এ পাইপলাইন যাবে সাহারা মরুভূমির ওপর দিয়ে। আলজেরিয়ায় গ্যাস যাওয়ার পর তা হয় ভূমধ্যসাগরের নিচে পাইপলাইন দিয়ে অথবা এলএনজি ট্যাঙ্কারে করে ইউরোপে পৌঁছাবে। মিসর ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আরও চালান পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং মৌরিতানিয়া ও সেনেগালে নতুন এলএনজি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। যেসব প্রকল্প স্থগিত ছিল, সেগুলো এখন গতিশীল
করা হচ্ছে।
আফ্রিকা আগামী বছরগুলোয় ইউরোপের প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানির ঘাটতি পূরণ করার অবস্থানে থাকতে পারে। যে গ্যাসক্ষেত্রগুলো এতদিন বিকশিত ছিল না, সেগুলো এখন কার্যকর। সঠিক নীতি গ্রহণ করলে এগুলো গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে পারে।