ইউরোপে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা করবে ইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপিয়ান চেইন অব কমার্সের অংশ হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে তাদের মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে ইউরোপের বাজার ধরতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী।

গতকাল রোববার বেসিস সফটএক্সপো আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইইউর অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘সফটএক্সপো ২০২৩’-এর সমাপনী দিন গতকাল রোববার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে ‘২০২৫ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক। আলোচক ছিলেন বেসিস পরিচালক রাশাদ কবির, উনিপেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেক্সটার রিলেই ও ই-ট্রেইনের নির্বাহী পরিচালক ডাটো এরিক কু উইই ফেই। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বেসিসের আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়ন-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টিআইএম নুরুল কবির।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, সমন্বিত নেতৃত্বে এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কভিডকালে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও সমৃদ্ধ হয়েছি। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য আমরা এরই মধ্যে অনেক বিশেষায়িত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং উন্নত ইনকিউবেশন সেন্টার এবং হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছি। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ অবশ্যই পাঁচ বিলিয়ন ডলার আইসিটি রপ্তানি আয় অর্জন করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় অনেক বেশি হতে পারে। কভিড-পরবর্তী সময়কাল হলো বিশ্বে আইসিটি উত্থানের সময়। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইন্টারনেট খরচ সস্তা, কিন্তু ধীরগতির। এটা আমাদের উন্নত করতে হবে। কারণ সবকিছুর মূলেই রয়েছে ইন্টারনেট। তাই দ্রুতগতির ইন্টারনেট খুব বেশি প্রয়োজন।