শেয়ার বিজ ডেস্ক: সাত দশমিক তিন মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। গতকাল ভোরে দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মালাকু প্রদেশের বরত দায়া দ্বীপপুঞ্জে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। খবর: স্ট্রেইট টাইমস।
ভূমিকম্পের পর উৎপত্তিস্থল দায়া দ্বীপপুঞ্জে জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট। জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। তবে আশপাশের দ্বীপগুলোয় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সাগরপাড়ের প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ায়ও। জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দিলির প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ও বান্দা সাগরে ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপের ৫০ কিলোমিটার পূর্বে। গতকাল ভোর ৪টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ছয় মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে অস্ট্রেলিয়ার উইন্ডসরের চ্যাপেল স্ট্রিটের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ডারউইনে কয়েক মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হয়। এ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাইকেল গানারসহ স্থানীয় অনেকে জেগে ওঠেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর একই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে। তখন সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে তখন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে চলতি বছর জানুয়ারিতে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইন্দোনেশিয়ার একই এলাকায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধসে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাতের পর সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান, যা ছিল দেশটির ইতিহাসে ভূমিকম্পে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এখানে। জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত এ অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটগুলোতে তুলনামূলক বেশি সংঘর্ষ হয়।