শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈশ্বিক উচ্চমূল্যের ফলে সুবিধা পাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার পণ্য রপ্তানি খাত। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ, যা ২০২১ সালের সামান্য বৃৃদ্ধি তিন দশমিক সাত শতাংশ থেকে বেশি। যদিও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এ পরিসংখ্যানে পরিবর্তন আসতে পারে। সেখানে বেঞ্চমার্ক স্টক মার্কেট বেড়েছে আট শতাংশ, যা দেশটির শীর্ষ ৫০ ধনীর সম্পত্তি বাড়াতে সাহায্য করেছে। তাদের সম্মিলিত সম্পত্তি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ বিলিয়ন ডলার। গত বছর তাদের মোট সম্পত্তি ছিল ১৬২ বিলিয়ন ডলার। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর: ফোর্বস।
চলতি বছর দেশটির মোট ২২ ধনকুবেরের সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাদার্স আর. বুদি ও মাইকেল হার্টনো ৪৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি নিয়ে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। গত বছরের চেয়ে তাদের সম্পত্তি বেড়েছে ৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে উচ্চ কয়লার দামের কারণে লো টাক কোংক চলে এসেছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। তার সম্পত্তি পাঁচগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। তিনি দেশটির চতুর্থ বড় কয়লাখনির মালিক, যার শেয়ার বেড়েছে ব্যাপকভাবে।
এদিকে সিনার মাস গ্রুপের উইডজাজা পরিবার ৩ নম্বরে নেমে গেছে। যদিও তাদের সম্পত্তি ১ দশমিক ১ বিলিয়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। এক্ষেত্রে তারা বেশি সুবিধা পেয়েছে কাগজের ব্যবসা থেকে।
২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবসার ক্ষেত্রে ভালো করেছে কনভেনিয়েন্স স্টোর চেইন আলফামার্টের মালিক জোকো সুসান্তো। তার সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়ে চার দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ প্রথমবার তিনি শীর্ষ দশে স্থান করতে পারলেন। মুনাফাকারীদের মধ্যে প্রায় অর্ধ ডজনের এক বিলিয়ন ডলার করে সম্পত্তি বেড়েছে। নতুন বিলিয়নেয়ারের তালিকায় যেসব নাম যুক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনই কয়লা ইন্ডাস্ট্রির। ডিওই ক্যাম নামের একজন দুই বিলিয়ন ডলার নিয়ে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।
মূলত বেয়ান রিসোর্সে তার ১০ শতাংশ শেয়ারই এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। রয়েছেন ব্রামাল্টি গ্রুপের ঘান ডোজো হাইহাং ও খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বামবাং সুতান্তিও।