শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ চার ধনী দেশটির ১০ কোটি দরিদ্র মানুষের চেয়েও বেশি সম্পদশালী। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর এএফপি।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ চার ধনীর হাতে রয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা দেশটির ১০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়ে বেশি। ওই বছরের হিসাবে দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ২৫ কোটি। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী চার ধনীর তিনজনই তামাক ব্যবসায়ী।
ধনী-গরিবের এ ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও কী পরিমাণ জনগোষ্ঠী এখনও পিছিয়ে রয়েছে দেশটিতে। অক্সফাম মনে করছে, দেশটির সরকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ার অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থাটি মনে করে, এ অবস্থা থেকে উঠে আসতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সেবায় ব্যয় বাড়ানো এবং ধনীদের ওপর অধিক করারোপ প্রয়োজন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে। তবে গত ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েছে দেশটিতে। এর অন্যতম কারণ উচ্চ প্রবৃদ্ধির সুবিধা সবাই পায়নি, ফলে দেশটির কোটি কোটি মানুষ এখনও পিছিয়ে আছে।
ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের এ ব্যবধান বৃদ্ধি হুমকিস্বরূপ বলে মনে করে অক্সফাম। যদি বৈষম্য কমানো না যায়, তাহলে দারিদ্র্য কমানো কঠিন হয়ে পড়বে। সে সঙ্গে সামাজিক অস্থিতিশীলতাও বাড়বে বলে মনে করে তারা। ১৯৯৭ সালের এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের পর থেকেই বৈষম্য বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায়। ওই সময় এ সংকটের কারণে মুক্তবাজার নীতি সম্প্রসারিত হয়। তাই ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক হলেও এর সুবিধা বহু বছর ধরে কেবল ধনীরাই ভোগ করে আসছেন। শহরাঞ্চলে এ বৈষম্য সবচেয়ে বেশি।