Print Date & Time : 28 August 2025 Thursday 4:03 pm

ইবিতে এক শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঁচ ব্যাচ, সেশনজটের আশঙ্কা

সামী আল সাদ, ইবি: ক্লাসরুমের তীব্র সংকটে রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাতটি বিভাগ। এর মধ্যে তিনটি বিভাগের নেই কোনো স্থায়ী ক্লাসরুম। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিভাগগুলোর নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে প্রশাসনের নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠার ছয় বছর, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও সমাজকল্যাণ বিভাগের পাঁচ বছর, চারুকলা বিভাগের তিন বছর এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্ণ হলেও কমেনি ক্লাসরুমের সংকট।

এর মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ছয় ব্যাচের জন্য দুটি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ও সমাজকল্যাণ বিভাগে পাঁচ ব্যাচের জন্য একটি ক্লাসরুম বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া চারুকলা, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া জার্নালিজম এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের জন্য স্থায়ী কোনো ক্লাসরুম বরাদ্দ হয়নি। চারুকলা বিভাগের ক্লাস টিএসসিসি এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের অস্থায়ী দুটি কক্ষে, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া জার্নালিজম বিভাগ আইআইইআর ভবনের অস্থায়ী একটি কক্ষে এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস গণিত বিভাগ ও জিমনেসিয়ামের অস্থায়ী একটি কক্ষে নেয়া হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে রুটিন অনুসারে সময়মতো ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া এক ব্যাচের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একই ক্লাসরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। এতে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে ক্লাসরুমে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তেমনি অস্বস্তি বোধ করেন দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, একটি-দুটি ক্লাসরুমে ডিপার্টমেন্টের পাঁচ-ছয়টি ব্যাচের ক্লাস পরীক্ষা চালানো খুবই কষ্টসাধ্য। এ কারণে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বিঘœ হচ্ছে। এতে পিছিয়ে পড়ছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তির পর এ সংকট আরও প্রকট আকারে ধারণ করবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, নানা সংকট আর সীমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে বিভাগগুলো। ক্লাসরুম সংকটের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সেমিনার, লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাবসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এসব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যায় না।

দু-এক বছরের মধ্যে অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। আমাদের নতুন ভবন যেগুলো হচ্ছে, তা থেকে ক্লাসরুম দিয়ে সংকট কমিয়ে আনতে হবে।