পাঠকের চিঠি

ইবিতে কমন লাইব্রেরি চাই

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে ইবিতে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। এ বিপুল শিক্ষার্থীর জন্য ক্যাম্পাসে একটি সুবিশাল খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আবদুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার লাইব্রেরি আছে। বৃহৎ আকৃতির লাইব্রেরি থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনেকাংশেই এর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটি সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ সময় ৯টার অনেক পরে খোলে এবং ৮টার আগে বন্ধ করে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। শিক্ষার্থীদের রাত ৮টার পরে লাইব্ররিতে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। আবার লাইব্রেরিতে নিজস্ব বই নিয়ে পড়াশোনা করার জায়গা প্রয়োজনের চেয়ে খুবই অপ্রতুল, যা চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রবান্ধব সিদ্ধান্ত না নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে লাইব্রেরি-বিমুখতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া যারা লাইব্রেরির বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তারা ইউটিউব এবং মোবাইল ফোনে মুখগুঁজে বসে থাকেন। শিক্ষার্থীদের খুব একটা সাহায্য করেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে লাইব্রেরি সুবিধা রয়েছে কিন্তু সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সকালে ও রাতে হলের লাইব্রেরিগুলোতে শিক্ষার্থীদের আসন সংকুলান হয় না। একই রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে বসে চাকরি প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এই দুর্ভোগ নিরসনে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে একটি কমন লাইব্রেরি তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। যেখানে সব শিক্ষার্থী  তাদের নিজস্ব বই নিয়ে চাকরি প্রস্তুতি, অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিবারাত্রি পড়াশোনা করতে পারে। এই লাইব্রেরি তৈরির উত্তম জায়গা হতে পারে সাদ্দাম হোসেন হল গেটের ওপরের জায়গা। এই হল গেটের ওপরে সুবিশাল ফাঁকা জায়গা রয়েছে। আর সাদ্দাম হোসেন হল জিয়া মোড় ও কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠ-সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ফাঁকে অবসাদ দূর করার জন্য সহজেই জিয়া মোড় আসতে পারবে; মাঠের নির্মল পরিবেশ উপভোগ করতে পারবে। এই লাইব্রেরি তৈরি করা হলে এখানে শুধু ছেলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। ঠিক এরই আদলে ছাত্রী হলেও একটি লাইব্রেরি করা যেতে পারে। যেখানে শুধু ছাত্রী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে। বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার সময়ে নিজেকে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হিসেবে প্রস্তুত করতে এমন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাদ্দাম হোসেন হল প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের প্রত্যশা।

তুহিন বাবু

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়