নিজস্ব প্রতিবেদক: আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে আতঙ্কিত বা হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নতুন বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। গতকাল তিনি শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নির্দেশনায় যেভাবে বলা আছে সেভাবেই কাজ করছি। এই মুহূর্তে অডিটর নিয়োগ ছাড়া বেশি কিছু বলার সময় হয়নি। আশা করছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অডিটর নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।’
হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত ইভ্যালির নতুন বোর্ডের প্রথম সভা হয়। গতকাল ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়। সেখানে নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব কবীর মিলন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় আমরা ২৬ অক্টোবর প্রথম বৈঠক করেছি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অডিট করা।
তবে অডিট করতে গেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোনো ডকুমেন্টস পাচ্ছি না। কারণ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জেলে। কর্মীরাও চাকরি ছেড়েছে। আমরা শূন্যে ভাসছি।
সভা শেষে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহবুব কবীর মিলন লেখেন, ‘যা কিছু দেখবেন, শুনবেন, জানবেনÑআতঙ্কিত বা হতাশ হবেন না। আস্থা বা বিশ্বাস রাখুন, অপেক্ষা করুন। কষ্ট যা হবে, আমার হবে। হয়তো তিনগুণ কষ্ট বেড়ে যাবে, এই যা। যা হবে বিন্দু পরিমাণ বিচ্যুতি বা অনিয়ম বা ম্যানিপুলেশন থাকবে না। সময় দিন। অপেক্ষা করুন।’
ইভ্যালি পরিচালনার জন্য বোর্ড গঠন-সংক্রান্ত লিখিত আদেশে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাস পাওনা আদায়ের জন্য বোর্ডকে চাপ দিতে পারবেন না ইভ্যালির গ্রাহকরা। তবে কোনো গ্রাহক চাইলে পাওনার কথা বোর্ডের কাছে বা আদালতে জানাতে পারবেন।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ পৃষ্ঠার একটি লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন। লিখিত আদেশ পাওয়ার পরপরই তারা বোর্ড মিটিংয়ে বসবেন। কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের (বোর্ড) দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা।
এর আগে ১৮ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেনÑস্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।