নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আরেক গ্রাহকের কাছ থেকে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় এ দম্পতিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। গত বছরের ২ জুন চেক বাউন্স মামলায় রাসেল ও শামীমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত।
চেক ডিজঅনার মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রতারণার মামলায় রাসেলকে দুই বছর ও শামীমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামীমা ২০২২ সালের এপ্রিলে এবং রাসেল ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালি বিভিন্ন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। এতে আকৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ হাসান ফাহিম তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্য পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইকটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয়। তবে ব্যাংক হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন। আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি। পরে বাদী টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি। এরপর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি। এ ঘটনায় মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।