শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইয়েমেন উপকূলে ফের একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাজটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইউনাইটেড কিংডম ট্রেড অপারেশন এজেন্সি ও ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রেই এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: এবিসি নিউজ।
এই হামলার পেছনে হুতি বিদ্রোহীরা জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে বলেন, তারা দুটি জাহাজে হামলা করেছে। এর একটি যুক্তরাষ্ট্রের, অন্যটি যুক্তরাজ্যের। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
অ্যামব্রেই জানিয়েছে, জাহাজটি লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাহাজের ডেক অতিক্রম করার সময় সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।
লোহিত সাগরের পূর্ব উপকূল দিয়ে যাওয়ার সময় জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়। পশ্চিম ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরে এই হামলা চালানো হয়।
বেসরকারি নিরাপত্তা ফার্ম আমব্রেই জানিয়েছে, বারবাডোজের পতাকাবাহী জাহাজটি একটি ব্রিটিশ কোম্পানির। হামলার ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জাহাজটি তাদের গন্তব্যস্থল সিঙ্গাপুরের দিকে যাত্রা করেছে। গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী যে কোনো জাহাজে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুতি। তাদের দাবি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত থাকবে।
ইসরায়েলে চলাচল করা জাহাজগুলোর বড় একটি অংশ ভূমধ্যসাগরের হাইফা ও আশদদ বন্দর ব্যবহার করে। এছাড়া এলিয়াত বন্দর ব্যবহার করা হয় মৃত সাগরের পটাশ রপ্তানি ও চীনের উৎপাদিত গাড়ি আমদানি করতে। ইসরায়েলের ৭০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) আমদানি এলিয়াত বন্দরের ওপর নির্ভরশীল।
হুতিদের এই হামলার জবাবে ইয়েমেনে প্রায়ই হামলা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের অন্তত ১৩ স্থানে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সবশেষ গত সোমবার হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস সামরিক বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল একটি ভূমি আক্রমণকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও চারটি জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হামলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।